শিরোনাম
◈ মধ্যরাতে ব্যাংকের ভেতরেই অবস্থান কর্মকর্তার, যা জানা গেল ◈ ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে দেশে ফিরেছেন ৫ বাংলাদেশি ◈ ফলক থেকে নাম মুছে দিয়েই ভাষা আন্দোলনে গোলাম আযমের অবদান মুছে ফেলা যাবে না : জামায়াত  ◈ এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষা বোর্ডের ১৪ নির্দেশনা ◈ মাতৃভাষার গুরুত্ব না বুঝলে এসডিজি অর্জিত হবে না : প্রধান উপদেষ্টা ◈ অতিরিক্ত সচিব তপন কুমারকে বাধ্যতামূলক অবসর ◈ বাংলাদেশের হারের জন্য ব্যাটিং-ফিল্ডিং ইউনিটকে দায়ী করলেন শেবাগ ও মাঞ্জারেকার ◈ ব্যাটিং ব্যর্থতায় আমরা ভারতের কাছে হেরে গেছি: অধিনায়ক শান্ত ◈ একদিন আগেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত কনসার্ট স্থগিত  ◈ ভাষা আন্দোলনটা দারুণ বিকৃতির কবলে পড়েছে: জামায়াত আমির (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:১৯ দুপুর
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়ার বিষয়ে যে দুটি পদ্ধতিতে হিসাব করা হয়েছে

ধনী দেশগুলোর কাছে ৬ লাখ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ পাবে বাংলাদেশ!

উন্নত বিশ্বের জলবায়ু দূষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ধনী দেশগুলোর কাছে ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশের পাওনা প্রায় ৫ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন বা ৫ লাখ ৮০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।  

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বের ৫৪টি নিম্ন আয়ের দেশ বিদেশি ঋণের ফাঁদে পড়েছে। এসব দেশ জাতীয় উন্নয়ন ব্যাহত করে ধনী দেশগুলোর কাছে ১৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পরিশোধ করেছে।  

বাংলাদেশসহ নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর ন্যায্য পাওনা ১০৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে এই দেশগুলোর উপর বৈদেশিক ঋণের বোঝা মাত্র ১ দশমিক ৪৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ধনী দেশগুলোর দেনার তুলনায় ৭০ গুণ কম। 

২০২৩ সালে বাংলাদেশ একাই বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে ৪৭৭ কোটি মার্কিন ডলার। অথচ, জাতীয় রাজস্বের ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ বিদেশি ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে, যেখানে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল মাত্র ৩ দশমিক ০৮ শতাংশ ও শিক্ষা খাতে ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।  

অ্যাকশনএইডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধনী দেশগুলোর জলবায়ু ক্ষতিপূরণ পরিশোধে ব্যর্থতার ফলে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং জলবায়ু কর্মসূচিতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।  

এ বিষয়ে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, 'নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর ঋণের ফাঁদের ভয়াবহতা এই প্রতিবেদনে ফুটে উঠেছে। ঔপনিবেশিক ঋণ কাঠামো থেকে মুক্তির জন্য আমাদের জোরালো দাবি তুলতে হবে।'  

প্রতিবেদনে বিশ্ব নেতাদের কাছে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে, ঋণ পরিশোধের নতুন জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন প্রণয়ন। জলবায়ু ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ। বৈদেশিক ঋণ মওকুফের জন্য বৈশ্বিক সংহতি গড়ে তোলা।   

জানা গেছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ‘হু ওজ হু’ নামে বিশেষ এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনাল।   

ধনী দেশগুলোর ঋণের হিসাব দুটি পদ্ধতিতে করা হয়েছে:  
১. ১৯৯২ সাল থেকে নিঃসরণ হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ ৫ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওনা।  
২. ১৯৬০ সাল থেকে হিসাব করলে পাওনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।  

ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়