শুল্ক বৃদ্ধিতে ভারতকে বাদ দিয়ে পাকিস্তান থেকে ৫ হাজার ৫০০ টন চিটাগুড় (পশুখাদ্য) আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মোংলা বন্দরের ৮নং জেটিতে প্রথম চালানের পণ্য খালাস করে পানামার পতাকাবাহী জাহাজ এমটি ডলফিন-১৯। এর আগে গতকাল বুধবার রাতে জাহাজটি জেটিতে ভিড়ে।
এর আগে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি চিটাগুড় নিয়ে পাকিস্তান থেকে জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
বৃহস্পতিবার সকালে বন্দর জেটিতে ওই বাণিজ্যিক জাহাজ কর্তৃপক্ষ ও আমদানীকারককে স্বাগত জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) সফিকুল ইসলাম সরকার ও উপপরিচালক মাকরুজ্জামান মুন্সিসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রথম বাংলাদেশি আমদানীকারক মন্ডল অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ মোংলা বন্দরের মাধ্যমে চিটাগুড় আমদানি করেছে। এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক জানান, তিনিসহ বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দেশের চাহিদা মেটানো শেষে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি চিটা গুড় রপ্তানি করতেন। কিন্তু সুগার মিল কমে যাওয়ায় এবং গুড় তৈরি না করার কারণে এখন তারা আমদানি করে দেশের পশুখাদ্য চাহিদা মেটাচ্ছেন।
তিনি বলেন, তবে আগে তারা ভারত থেকে এই চিটাগুড় আমদানি করতেন। রাজনৈতিক কারণে অন্য কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশি আমদানিকারকগণ এসব পণ্য আমদানি করতে পারতেন না। এ সুযোগে বাংলাদেশে এ পণ্য রপ্তানির ওপর ভারত ৫০ ভাগ শুল্ক আরোপ করে।
এ ব্যবসায়ী আরও বলেন, বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের ফলে তারা এখন পাকিস্তান থেকে পশুখাদ্য আমদানি শুরু করেছেন। পাকিস্তান থেকে আমদানি করা এ পণ্য প্রথম মোংলা বন্দরে আনা হয়েছে। এখান থেকে পণ্য খালাস করে সড়ক পথে নেওয়া হবে রাজশাহী বিভাগে। পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানির ফলে দেশের বাজারে পশুখাদ্যের দাম কমবে বলে তিনি জানান।
এসময় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) সফিকুল ইসলাম সরকার কালবেলাকে বলেন, বন্দর সৃষ্টির পর এই প্রথম মোংলায় এলো পশুখাদ্যবহনকারী বাণিজ্যিক জাহাজ। যেসব পণ্য আগে কখনো এ বন্দরে আসেনি, নতুন করে এসব পণ্য আমদানির ফলে মোংলা বন্দরের রাজস্ব বাড়বে। তাই আগামীতে যেন জেটি থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে রেলস্টেশনে নেওয়া সম্ভব হয় এজন্য পাইপলাইন বসানো হবে। এরপর ট্রেনে করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহজে কম খরচে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রতিনিয়ত মোংলা বন্দরের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে। গেল ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৭ মাসে মোংলা বন্দরের জাহাজ ভিড়ে ৪৯৬টি। ৬৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৩শত টন পণ্য রপ্তানি করা হয়। ১২ হাজার ৮৩ টিউজ কনটেইনার লোডিং-আনলোডিং এবং ১২টি জাহাজ থেকে ৬৭৫১টি গাড়ি খালাস করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :