এল আর বাদল : গত সাত মাসে (২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি) বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১২ শতাংশ। এই সময়ে মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৫৫ কোটি মার্কিন ডলার।
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিসংখ্যানের তুলনায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।- ভয়েস অব আমেরিকা
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, গত চার মাসে (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) টানা দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনের পর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশে। যেখানে এক মাসে রপ্তানি মূল্য ছিল ৩৬৬ কোটি ডলার।
নিটওয়্যার খাতে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ওভেন পোশাক রপ্তানিতে ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানগুলো উৎসাহজনক হলেও সেগুলো শিল্পের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো বিশেষত দাম এবং ব্যয়ের চাপকে পুরোপুরি প্রতিফলিত করে না।
রুবেল বলেন, এই প্রবণতাকে প্রভাবিত করে এমন নির্দিষ্ট কারণগুলো যেমন বাজার-নির্দিষ্ট কর্মকা-, পণ্য এবং বাজারের ঘনত্ব এবং অন্যান্য পরিবর্তনগুলো শনাক্ত করার জন্য আরও বিশ্লেষণ প্রয়োজন।
গত বছর বৈশ্বিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে সঙ্কুচিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ফলে তীব্র মূল্য প্রতিযোগিতাও দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের জন্য কিছু সুযোগ রয়েছে। রুবেল বলেন, তবে জ্বালানি নিরাপত্তা এবং আর্থিক/ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতাসহ ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে সহায়তার জন্য বেশ কয়েকটি অগ্রাধিকার মোকাবিলা করা দরকার।
আপনার মতামত লিখুন :