মনজুর এ আজিজ: বর্তমান সময়ে দেশে পণ্য রফতানি আয় বেড়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪১৯ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। আর ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে রফতানি আয় এসেছে ৪৪৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে গত বছরের তুলনায় এবছরের জানুয়ারিতে রফতানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। সোমবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারি মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলারে। গত বছর যা ছিল ৩৪৭ কোটি ১০ লাখ ডলার।
তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ১৮৫ কোটি ২ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ১৮১ কোটি ৪০ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, জানুয়ারিতে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে কৃষি পণ্য রফতানি বেড়েছে। তবে কমেছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইলের। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারে। আর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি কমেছে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। জানুয়ারিতে রফতানি হয়েছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য।
এছাড়া কৃষি পণ্যের রফতানি আয় ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৮৩ লাখ ডলারে। ২০২৪ সালের একই সময়ে যা ছিল ৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মাসে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়েছে ২ হাজার ৮৯৬ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি।
এ প্রসঙ্গে রফতানিকারকরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় দেশের শিল্প কল-কারখানা যেভাবে চলছে তাতে সরকারের সাপোর্ট পেলে রপ্তানি আরও বাড়বে। তবে শিল্প কারখানায় গ্যাস সঙ্কট ও সরকারের প্রস্তাবিত দাম বাড়ানো হলে উৎপাদন অনেক কমে যাবে। ফলে রফতানিতে আবারও পিছিয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশ।
আপনার মতামত লিখুন :