শিরোনাম
◈ ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ মার্চ ◈ ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে, স্বস্তি খাদ্যেও ◈ কম সংস্কার চাইলে ডিসেম্বরে, বেশি চাইলে জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রাক্তন দুই মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ◈ বিক্ষোভের শহরে পরিণত হচ্ছে রাজধানী ঢাকা: নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদন ◈ সামনের পথ স্পষ্ট - একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে দ্রুত প্রত্যাবর্তন : মির্জা ফখরুল ◈ ইউক্রেনকে সাহায্য করতে নারাজ ইউরোপের ২ দেশ ◈ জাতীয় নাগরিক দল বাংলাদেশে নির্বাচনী দৃশ্যপট পরিবর্তন করতে পারে ◈ ইউপি চেয়ারম্যান লাক মিয়ার ৪৯ ব্যাংক হিসাব, লেনদেন ১৪,৩৭৬ কোটি টাকা ◈ সাতকানিয়ায় নিহত ২: কোতোয়ালি থানার লুট হওয়া পিস্তল দিয়ে ছোড়া হয় গুলি ◈ পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৩৭ কর্মকর্তাকে র‍্যাংকব্যাজ পরালেন ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত : ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:৫০ রাত
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আইএমএফের শর্ত পূরণে ডলার কিনে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ছুঁই ছুঁই

বছর শেষের আগেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সুখবর মিলল। আন্তর্জাতিক হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এক হাজার ৯৯৫ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ডলার (বিপিএম৬); বা ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৪৯৪ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার ডলার।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ আপডেট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দেশে মূলত রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণ করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথমটি হলো বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সহজ শর্তের ঋণ, বিমান ক্রয়ে সোনালী ব্যাংককে দেয়া ঋণসহ বেশ কয়েকটি তহবিল।

দ্বিতীয়টি হলো- আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে একটি তহবিল। এর বাইরে রয়েছে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ। বর্তমান যা ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা নিচে। দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ রিজার্ভ এখন প্রায় চার মাসের আমদানি মূল্য মেটানোর অবস্থায় রয়েছে।

গত ১১ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে আমদানি পণ্যের বিল বাবদ ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬)। কিন্তু গত দেড় মাসে বৈদেশিক মুদ্রার এই সঞ্চয় বাড়তে বাড়তে আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই হয়েছে।

এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে শেষ নাগাদ নিট রিজার্ভ নামে ২৪ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারে। এ সময় বৈশ্বিক উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে আমদানি ব্যয় বাড়তে থাকে। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার আহরণের ক্ষেত্রটা সংকুচিত হতে থাকে। এ অবস্থায় জ্বালানি ও জরুরি খাদ্যপণ্য আমদানিতে ডলারের চাহিদা বাড়তে থাকে। উল্টোদিকে ডলার বিক্রি করার কারণে কমে যায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

এরপর বৈদেশিক ঋণ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার ক্রয়ের মাধ্যমে আবার রিজার্ভ বাড়ায়। বর্তমান সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সোর্স থেকে ডলার যোগ হচ্ছে প্রতিদিনই। এর ধারাবাহিকতায় ক্রমেই বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়