পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রসহ পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদি হিসাবের বিনিয়োগকারীরা আমৃত্যু পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা নিতে পারবেন। তবে যেসব সঞ্চয়পত্র ১ ডিসেম্বর ২০২৪ বা তৎপরবর্তী সময় মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, সেগুলোই (ম্যানুয়ালসহ) পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা পাবে। প্রতিবার পুনঃবিনিয়োগের জন্য গ্রাহকের সম্মতি নিতে হবে। বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা পর্যন্ত পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা মিলবে এবং ঊর্ধ্বসীমার অতিরিক্ত অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে প্রেরণ করা হবে।
পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা ত্রৈমাসিকের পরিবর্তে মাসিক ভিত্তিতে মুনাফা পাবেন। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেটা ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়। এর মাধ্যমে জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের সংশোধিত নীতিমালার আওতায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের গত ৩ নভেম্বরের সার্কুলারের স্পষ্টীকরণ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলার অনুযায়ী, জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় ইস্যুকৃত ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডেও পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা মিলবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ইস্যুকৃত বন্ডের ক্ষেত্রেও একই সুবিধা মিলবে। এক্ষেত্রেও পুনঃবিনিয়োগের জন্য প্রতিবার গ্রাহকের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে।
সার্কুলারে বলা হয়, সঞ্চয়পত্র, বন্ড ও ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক হিসাবে পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা দিতে জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় প্রণীত সেলফ-সার্ভিস মডিউলের অধীনে একটি নতুন ইন্টারফেস চালু করা হবে। এতে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বিনিয়োগকারী অনলাইনে পুনঃবিনিয়োগ আবেদন করতে পারবেন। বিনিয়োগকারীরা সশরীরে অফিসে এসেও পুনঃবিনিয়োগের আবেদন করতে পারবেন।
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের কপি আবশ্যিকভাবে জমা দিতে হবে। অন্যথায় পুনঃবিনিয়োগের সুবিধা পাওয়া যাবে না। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক দাখিল করা যাবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, পুনঃবিনিয়োগের সময় পুনঃবিনিয়োগের তারিখের মুনাফা হার ও স্ল্যাব প্রযোজ্য হবে। মুনাফাসহ পুনঃবিনিয়োগ করার সময় উৎসে কর কর্তনপূর্বক নিট মুনাফা পুনঃবিনিয়োগ সুবিধার আওতায় আসবে। তবে মৃত ব্যক্তির নমিনী অথবা উত্তরাধিকারী পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা প্রাপ্য হবেন না।
ব্যাংক হিসাব পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ইস্যুকারী অফিস মেকার ও রিভিউয়ার হবে এবং ইস্যুকারী অফিসের ঊর্ধ্বতন কার্যালয় হবে অনুমোদনকারী। এই তিন ব্যবহারকারীর সমন্বয়ে জাতীয় সঞ্চয় স্কিমে বিনিয়োগকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংশোধন করা যাবে। উৎস: দৈনিক আমাদের সময়।
আপনার মতামত লিখুন :