শিরোনাম
◈ গবেষণায় উঠে এল ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ◈ ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের ◈ এনসিএিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ঢাকাকে ১০ উইকেটে হারালো চট্টগ্রাম ◈ সুনামগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার ◈ পাইপলাইনে তেল আসবে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায়, সাশ্রয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা ◈ বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগ: আ. লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ◈ ইংলিশ লিগে রাতে মাঠে নামছে লিভারপুল ও আর্সেনাল, লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদ ◈ ভারতের বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বাংলাদেশে হিন্দুদের সাহায্য করছে না ◈ সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে: ভারত প্রসঙ্গে সারজিস আলম (ভিডিও) ◈ ভারতকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহার করে নিলো সুইজারল্যান্ড

প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:৩৩ বিকাল
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:২২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাইপলাইনে তেল আসবে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায়, সাশ্রয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা

পাইপলাইনে তেল আসবে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায়, সাশ্রয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা

ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের কাজ। সব ঠিক থাকলে আগামী মার্চেই এ লাইন দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসবে জ্বালানি তেল। এতে সাশ্রয় হবে প্রায় ২৩৬ কোটি টাকা। আর এর মাধ্যমে জ্বালানি পরিবহনে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করবে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কর্মকর্তারা জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে একদিকে যেমন জ্বালানি তেল পরিবহন খরচ কমবে, অপরদিকে নির্বিঘ্ন হবে সরবরাহব্যবস্থাও। একইসঙ্গে পরিবেশদূষণও রোধ করা সম্ভব হবে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে নদী ও সড়কপথে ঢাকায় জ্বালানি তেল পরিবহন করা হয়। তবে নানা কারণে মাঝেমধ্যেই এ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া নদী ও সড়কপথে তেল পরিবহনের কারণে খরচ যেমন বেশি পড়ে তেমনি ওঠে তেল চুরির অভিযোগও। একই সঙ্গে শুষ্ক মৌসুমে নৌপথে নাব্যতা কমে যাওয়ায় তেল পরিবহন করাও কঠিন হয়ে পড়ে।

এসব সংকট নিরসনে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ‘চট্টগ্রাম হতে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন’ নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। এরপর প্রথম দফায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ আবার বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ হয়।

শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৮৬১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। পরে সংশোধিত হয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকায়। এটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে জ্বালানি তেলের গড় চাহিদা ৬৫ লাখ টন হলেও গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরবরাহ করা হয় ৬৭ লাখ টন। যার মধ্যে ৭৫ শতাংশই ডিজেল।

শুধু ঢাকা বিভাগেই জ্বালানি তেলের ব্যবহার মোট চাহিদার ৪০ শতাংশ জানিয়ে বিপিসি আরও জানায়, বর্তমানে ঢাকায় তেল পরিবহনের জন্য প্রথমে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে নদীপথে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোতে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সড়কপথে ঢাকায় তেল পরিবহন করা হয়। আর পরিবহন কাজে প্রতি মাসে প্রায় ১৫০টি ছোট-বড় জাহাজ ব্যবহৃত হয়। এতে বছরে খরচ হয় ২০০ কোটি টাকা।

এ অবস্থায় পাইপে তেল পরিবহন শুরু হলে প্রতিবছর প্রকল্প থেকে আয় হবে ৩২৬ কোটি টাকা এবং পরিচালন, রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি, বিদ্যুৎ বিল, জমির ভাড়াসহ আরও কিছু খাতে ব্যয় হবে ৯০ কোটি টাকা। এতে প্রতিবছর সাশ্রয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা।

এ থেকে ধারণা করা যায়, আগামী ১৬ বছরের মধ্যেই প্রকল্পের বিনিয়োগ উঠে আসবে।

এ বিষয়ে কথা হয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) মনোনীত প্রকল্প পরিচালক মো. আমিনুল হকের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ডিসেম্বরেই প্রকল্পের নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে। এরপর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম (কমিশনিং) শেষে পুরোদমে শুরু হবে জ্বালানি তেল পরিবহনের কাজ।

কবে নাগাদ কমিশনিং শুরু হবে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক (অপারেশন ও পরিচালন) অনুপম বড়ুয়া বলেন, সব ঠিক থাকলে জানুয়ারিতেই প্রকল্পের কমিশনিং হবে। এরপর জনবল নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে। সবশেষে মার্চে শুরু হবে জ্বালানি তেল পরিবহন। সূত্র : প্রথমআলো

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়