শিরোনাম
◈ আদালতে  শাজাহান খানের নালিশ ◈ সংবিধানবিরোধী আইন বাতিলের দাবি: উত্তাল ভারত, ওয়াকফ সংশোধন নিয়ে ভারতের মুসলিমদের দেশজুড়ে বিক্ষোভ ◈ ঘোমটা তুলতেই দেখা গেল বদলে গেছে কনে, মেয়ের বদলে মায়ের সঙ্গে বিয়ে! ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসেছে বিএনপি, আলোচনায় নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যু ◈ হিন্দু নেতার মৃত্যুকে নিপীড়নের অংশ বলা ভারতের দাবি প্রত্যাখ্যান করল বাংলাদেশ ◈ সুবিধা না পেলেও বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে হবে: আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ◈ সারা দেশে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের ঢল, গ্রেপ্তার অভিযানে কড়া নজরে পুলিশ ◈ ছাব্বিশের এপ্রিলে নির্বাচন হতে পারে! ◈ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মাইক্রোসফটের ভূমিকা নিয়ে কর্মীদের তীব্র প্রতিবাদ, বরখাস্ত ও পদত্যাগে উত্তাল পরিবেশ ◈ লা লিগায় ‌তিন গো‌লে পি‌ছি‌য়ে থাকা বা‌র্সেলোনা জিত‌লো ৪-৩ গো‌লে 

প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর, ২০২৪, ০৬:২২ বিকাল
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বকেয়া পরিশোধে উদ্যোগ সত্ত্বেও সরবরাহ আরও কমাল আদানি

বকেয়া পাওনা পরিশোধে চাপ দিতে গত মাসেই বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়েছে ভারতীয় আদানি পাওয়ার। এরই মধ্যে সরকার মোট পাওনার বড় অংশ পরিশোধের ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু এর পরও বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও কমিয়েছে আদানি।

বাংলাদেশের গ্রিড অপারেটরের ডেটা এবং আদানির এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পর্কিত দুই ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের কাছে আদানি পাওয়ারের পাওনা ৮০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। এই অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে প্রতিবেশী বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও কমিয়েছে তারা।

আদানি পাওয়ার চলতি মাসে সরবরাহ আরও কমিয়ে আনায় আগস্টের শুরুতে যেখানে প্রায় ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট (এমডব্লিউ) সরবরাহ ছিল, সেটি এখন ৭০০–৭৫০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছে।

পূর্ব ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গড্ডা এলাকায় অবস্থিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ (পিজিবি) এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন প্রতিনিধির তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাতে আদানি বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও কমিয়েছে। এতে এখন আদানি পাওয়ার থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুতের পরিমাণ প্রায় ৫২০ মেগাওয়াটে নেমেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গত বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে পাওনা পরিশোধ করছি এবং কেউ যদি সরবরাহ বন্ধ করে, তবে বিকল্প ব্যবস্থা নেব। আমরা কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদককে জিম্মি হতে দেব না।’

এদিকে বকেয়া পরিশোধের পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করা এবং আদানির ৭ নভেম্বরের আলটিমেটাম তুলে নেওয়ার পরও বাংলাদেশ কম সরবরাহ পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পিডিবি কর্মকর্তারা।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন বৈদেশিক ঋণ ও বকেয়ার অর্থ পরিশোধের গতি বাড়িয়েছে। আদানির জন্য এরই মধ্যে ১৭ কোটির ডলারের একটি লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলা হয়েছে।

এর পরও বিদ্যুৎ সরবরাহে কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আদানি পাওয়ারের পক্ষ থেকে রয়টার্সের প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়নি।

তবে আদানি পাওয়ারের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, বাংলাদেশের চাহিদা এবং বকেয়া পরিশোধের বিষয়টি মাথায় রেখে সরবরাহ ধীরে ধীরে কমানো হয়েছে। সূত্র : আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়