শিরোনাম
◈ বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা: আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:৫৫ রাত
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারত থেকে বিদ্যুৎ আসা বন্ধ হবে না : আদানি

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় আর্থিক ও ব্যবসা বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মানিকন্ট্রোল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ তথ্য।

বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা পাওনা আদানি পাওয়ারের। এ অর্থ দ্রুত পরিশোধের জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে তাগিদ দিয়েছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি। অবশ্য, বকেয়ার জন্য ভারত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ এখনই বন্ধ করা হবে না বলে আশ্বাসও দিয়েছে তারা।

আদানি গ্রুপের একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছে, বকেয়া দ্রুত পরিশোধের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরিতে অর্থলগ্নিকারীদের চাপে আছে আদানি গ্রুপ।

ঝারখণ্ডে নির্মিত আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চুক্তি আছে। প্রতিমাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ আদানি গ্রুপকে ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার দিতে হয় বাংলাদেশ সরকারের।

তবে সময়মতো অর্থ পরিশোধ না করায় এখন বাংলাদেশের কাছে আদানির পাওনা ৮০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রামান অনুযায়ী প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার সমান।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তি করে বিপিডিসি। চুক্তি অনুযায়ী গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেবে। যা পিক পাওয়ার ডিমান্ডে বাংলাদেশে মোট চাহিদার ১০ শতাংশ।

২ বিলিয়ন ডলার খরচ করে তৈরি করা আদানির গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব বিদ্যুতই বাংলাদেশে আসে। ২০২৩ সালে জুনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় এবং ওই মাস থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে তারা। বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়াও বাংলাদেশে আদানির ভোজ্যতেল পরিশোধনাগার এবং চাল প্রক্রিয়াজাতকরণ প্ল্যান্ট রয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, আদানি গ্রুপকে বিদ্যুৎ সরবরাহের পাওনা মার্কিন ডলারে পরিশোধ করে বাংলাদেশ। কিন্তু গত ২৩ আগস্ট মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যেটি দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে আরও ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে সংস্থাটি থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ।

এদিকে বাংলাদেশ যদি আদানির বিদ্যুৎ কেনা বন্ধ করে দেয়-এমন আশঙ্কা থেকে ভারত সরকার তাদের বিদ্যুৎ নীতিতে পরিবর্তন এনেছে। এতে বলা হয়, যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র শুধুমাত্র বিদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে তৈরি করা হয়েছে, তারা চাইলে স্থানীয় বাজারেও বিদ্যুৎ দিতে পারবে। সূত্র : আরটিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়