শিরোনাম
◈ নির্বাহী অফিসারের রুমে ৪ জামায়াত নেতাকে পেটালেন বিএনপি নেতারা ◈ পুরোনো সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া নিয়ে ভিভ রিচার্ডসের প্রশ্ন ◈ ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলে থাকছেন সিমন্স ও সালাউদ্দিন  ◈ গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রকাশ্যে, যা জানাগেল ◈ বিসিবি ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বাড়াচ্ছে ◈ খালেদা জিয়া আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে অনেক ভালো আছেন : ডা. জাহিদ হোসেন ◈ নির্বাচনের মাঠে কোন দল কী অবস্থানে ◈ শাপলা চত্বর ও গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলমের স্ট্যাটাস ◈ তৃতীয় ধাপে প্রাথমিকে নির্বাচিত ৬৫৩১ শিক্ষকের যোগদানের তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২৪, ০৯:৪০ রাত
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স দখলের ষড়যন্ত্র চলছে: সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

মনিরুল ইসলাম: [২] শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে ব্যর্থ কোম্পানি হিসিবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি কোম্পানিটি দখলের ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

[৩] তারা বলেছেন, যড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আইন ও নীতিমালা লংঘন করে কোম্পানির ১৭ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। উচ্চ আদালত ওই বরখাস্ত আদেশ বাতিল করেছে। বীমা উন্নয়ন কতৃপক্ষের নিয়োগ দেওয়া প্রশাসকের স্বেচ্ছাচারিতায় অচলাবস্থার কারণে ইতোমধ্যে কোম্পানির ৫০ শতাংশ ব্যবসা কমেছে। প্রশাসককে অপসারণসহ ৮দফা দাবি না মানলে কর্মবিরতি পালনসহ আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

[৪] বুধবার রাজধানীর মালিবাগে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। 

[৫] সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন কোম্পানীর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, ইন্স্যুরেন্স বিষয়ে কোনও ধারণা না থাকায় বর্তমান প্রশাসক এসএম ফেরদৌসের নেতৃত্বে দেশের একমাত্র লাভজনক বিমা কোম্পানি এখন উল্টো পথে হাঁটছে। প্রতিষ্ঠার ১০ বছরে এই প্রথম গ্রাহকের বিমা দাবির ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও তা পূরণ করতে পারেনি কোম্পানি। নানা অজুহাতে কোম্পানির সকল প্রকার সেবা প্রদান বন্ধ করা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই কর্মীরা কর্মবিরতি পালন করছে। এতে কোম্পানিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কোম্পানি সংশ্লিষ্ট ২৮ হাজার পরিবার ও তাদের উপর নির্ভরশীল ৭০ হাজার বীমা পরিবারের সদস্য এবং ৮ লক্ষাধিক গ্রাহক সংকটের চরম মুখে পড়েছে।

[৬] মালিকানা বদলের মাধ্যমে সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্স ধ্বংসের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ। 

[৭] তিনি বলেন, আগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইওি) দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্সে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছিলো বিমা উন্নয়ন কতৃপক্ষ। কিন্তু তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্নীতির তদন্ত না করে কোম্পানীর স্বার্থ বিরোধী একের এক পদক্ষেপ নিয়েছেন। যৌক্তিক কারণ ছাড়াই শীর্ষ নির্বাহীদের বরখাস্ত করেন। যা পরে উচ্চ আদালত রহিত করে। নিয়ম বহির্ভুত ভাবে নিজস্ব লোকজন নিয়োগ দিয়েছেন। সকল সুযোগ-সুবিধা বন্ধ ও কর্ম পরিবেশ নষ্ট করে কর্মীদের ধর্মঘটে যেতে বাধ্য করেছেন।

[৮] বীমা খাতে অভিজ্ঞতা শূন্য বর্তমান প্রশাসককে সরিয়ে সেখানে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে নিয়োগসহ ৮দফা দাবি তুলে ধরেন কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমদাদুল হক সাহিল।

[৯] তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগার কর্ম বিরতি চলবে। কোনভাবেই কর্মীরা কোম্পানিটি ধ্বংসের আয়োজন মেনে  নেবে না। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

[১০] সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত দাবিনামায় বলা হয়, সোনালী লাইফের সকল কর্মকর্তাদের বকেয়া পাওনা দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। নিরপেক্ষ অডিট কোম্পানি দিয়ে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ অডিট সম্পন্ন করে রিপোর্ট প্রকাশ এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বেতন নীতিমালা কার্যকর করার ক্ষেত্রে অন্যান্য জীবন বীমা কোম্পানির প্রচলিত সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় রেখে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের বিধান যথাযথ প্রতি পালন করতে হবে। এজেন্টদের অ্যালাউন্স ও বোনাস দ্রুত দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে হবে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এমআই/এসসি/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়