মনজুর এ আজিজ: [২] মে মাসের তুলনায় জুন মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চারটি খাত কৃষি, উৎপাদন, নির্মাণ ও সেবা খাতের পিএমআই সূচকের গতি কমেছে। গত মাসে পিএমআই সূচকের মান ছিল ৬৩ দশমিক ৯। মেট্রোপলিটন চেম্বার ও পলিসি এক্সচেঞ্জ প্রণীত সর্বশেষ পিএমআই সূচকে দেখা গেছে, জুন মাসে দেশের অর্থনীতির পিএমআই সূচকের মান ৬ দশমিক ১ পয়েন্ট কমেছে। তবে পিএমআই সূচকের মান ৫০-এর ওপরে থাকার অর্থ হলো, দেশের অর্থনীতি সামগ্রিকভাবে সম্প্রসারণের ধারায় আছে।
[৩] এর আগে এপ্রিল মাসেও দেশের অর্থনীতির প্রধান চারটি খাতের সম্প্রসারণের গতি কমেছিল। মে মাসে সেই ধারা থেকে বেরিয়ে এসে অর্থনীতি সূচকের মান ছিল ৭০ দশমিক ৯। কিন্তু জুন মাসে আবার গতি কমে গেছে। জুন মাসে কৃষি খাতের পিএমআই সূচক ছিল ৭০ দশমিক ২, মে মাসে তা ছিল ৭৯ দশমিক ৩। উৎপাদন খাতের সূচকের মান কমেছে সবচেয়ে বেশি জুন মাসে, যেখানে সূচকের মান ৬১ দশমিক ৭, মে মাসে যা ছিল ৭৬ দশমিক ৩।
[৪] জুন মাসে নির্মাণ খাতের সূচকের মান ছিল ৬৫, মে মাসে যা ছিল ৭৪ দশমিক ৩। সবচেয়ে কম সংকোচন হয়েছে সেবা খাতের। জুন মাসে সূচকের মান ছিল ৬৩ দশমিক ৫, মে মাসে যা ছিল ৬৪ দশমিক ৩।
[৫] প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরে ধারাবাহিক জটের কারণে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময় উভয়ই বেড়েছে। সেই সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণেও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে প্রভাব পড়েছে। এই চারটি খাতের নতুন ব্যবসা কমেছে। সরবরাহের জটিলতা বেড়েছে।
[৬] পিএমআই মান শূন্য থেকে ১০০ নম্বরের মধ্যে পরিমাপ করা হয়। আগের মাসের তুলনায় স্কোর বা মান ৫০-এর বেশি হলে অর্থনীতির সম্প্রসারণ এবং স্কোর ৫০-এর নিচে হলে বোঝা যাবে, অর্থনীতির সংকোচন হয়েছে। স্কোর ৫০ থাকলে বুঝতে হবে, সংশ্লিষ্ট খাতে ওই মাসে পরিবর্তন হয়নি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে সূচকের মান নির্ণয় করা হচ্ছে।
[৭] দেখা যায়, এপ্রিল মাসে দেশের অর্থনৈতিক সংকোচন হয়েছিল। ওই মাসে পিএমআইয়ের মান বা স্কোর মার্চের তুলনায় ২ দশমিক ১ শতাংশ কমে ৬২ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসে। মার্চে এই সূচকের মান ছিল ৬৪ দশমিক ৩ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে পিএমআই ছিল ৫৫। সম্পাদনা: এল আর বাদল
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :