সালেহ ইমরান: [২] খুব নাজুক অবস্থায় রয়েছে দেশের এই নন-ব্যাংক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই)। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই গ্রাহকদের অর্থ সময়মতো ফেরৎ দিতে পারছে না। আস্থার সংকট তৈরি হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানে নতুন করে আমানতও রাখতে চাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। এসব প্রতিষ্ঠানে গ্রাহক সংখ্যা কমেছে ১৭ শতাংশ। আয় কমেছে ১০.৪৪ শতাংশ।
[৩] কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশে ৩৫টি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের স্থিতি ছিলো ৭২ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা। খেলাপির হার ছিলো ২৯.৫৭ শতাংশ। রেড জোনে ছিলো ১৪টি এনবিএফআই। দুই বছর আগে ২০২১ সালে রেড জোনে ছিলো ১২টি।
[৪] বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন দুরাবস্থার পেছনে রয়েছে লুটেরা চক্র। তারা সরকারের উচ্চ মহলের ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু অসাধু কমকর্তার সঙ্গে যোগসাজসে নিয়ম না মেনে অর্থ ছাড় করে। খুঁটির জোর দেখিয়ে তারা আর ঋণ পরিশোধ করে না। উদাহরণ হিসেবে এসেছে পিপলস লিজিংয়ের কেলেঙ্কারির কথা।
[৫] শীর্ষ ঋণখেলাপি পাঁচটি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ: পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ৯৯.০২ শতাংশ, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি ৯৬.৮৫ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ৯৪.৭৬ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্স ৯৪.৪১ শতাংশ এবং জিএসপি ফাইন্যান্স ৯২.৩৭ শতাংশ।
[৬] নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার ভূঁইয়া বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠানের অবস্থা আসলেই খারাপ। এদের অবস্থার রাতারাতি উন্নতিও হবে না। তবে খারাপ প্রতিষ্ঠানের অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পিপলস, উত্তরা ও ইন্টারন্যাশনালের মতো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক বসানো হয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :