শিরোনাম
◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের ◈ ১১ ওভারের মধ্যে জিতেও বিদায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ◈ অফিস সময়ে সভা করতে সম্মানী নয়: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ হজ ফ্লাইট ২৯ এপ্রিল, বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ ছাড়াই হজে যাবেন যাত্রীরা ◈ নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ছাপিয়ে বিলি করা হবে: ড. ইউনূস ◈ ৪ বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, থানায় দেখা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ◈ প্রধানমন্ত্রী নয়, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার চায় এনসিপি: নাহিদ ইসলাম ◈ ইসরাইলিদের আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস করার গুঞ্জন, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা ◈ শেখ মুজিবের ছবি অপসারণের ঘটনায় শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ছাত্রদলের প্রতিবাদ ◈ বড় হারে অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন 

প্রকাশিত : ০৪ জুলাই, ২০২৪, ০৬:০২ বিকাল
আপডেট : ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সমতল ভূমিতে বাণিজ্যিক ভাবে লেবু চাষ করে স্বাভলম্বি লক্ষ্মীপুরের মধু

জাহাঙ্গীর লিটন, লক্ষ্মীপুর: সমতল ধানি জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে লেবু চাষ করে স্বাভলম্বি হয়ে উঠেছেন লক্ষ্মীপুরের চাষী সৈয়দ আহাম্মদ মধু। ২০১৮ সালে তিনি মাত্র ৬ শতাংশ জমিতে লেবু চাষ করে বর্তমানে তা সম্প্রসারণ করে দুই বিঘা জমিতে উন্নীত করেছেন। লেবু চাষ লাভ জনক হওয়ায় প্রতি বছরই তিনি বাগান বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। 

মধু জানান, মৌসুমে দাম কম থাকার পরও তিনি তার উৎপাদিত রেনু চাষ করে ৫০ হাজার টাকারমত আয় করে থাকেন। অপরদিকে অপ মৌসুমে তিনি ৭০/৭৫ হাজার টাকা আয় করে থাকেন। লেবু বিক্রকরে বছরে তার আয় হয়ে থাকে প্রায় ৮ লাখ টাকা। এ টাকা দিয়ে তার ৬ জনের সংসার সুখেই কেটে যায়। পারিবারিক ব্যায় নির্বাহ করে অতিরিক্ত অর্থ তিনি বিভিন্ন কাজে লাগিয়ে পরিবারের সচ্ছরতায় কাজে লাগাচ্ছেন।

সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত ছাবির মিয়ার পুত্র সৈয়দ আহাম্মদ মধু ছোট বেলা থেকেই চাষাবাদের সাথে জড়িত রয়েছেন। গত ১৮ সালে তিনি তার প্রতিবেশী ও কৃষি উদ্যোক্তা সিরাজুল ইসলামের সহযোগীতায় তিনি মাত্র মাত্র ছয় শতাংশ  ধানি জমিতে লেবু চাষ শুরু করেন। বছর না যেতেই তার বাগান থেকে লেবু বিক্রি শুরু করেন সৈয়দ আহাম্মদ। লাভজনক হওয়ায় তিনি প্রতি বছরই এ চাষ সম্প্রসারণকরে যাচ্ছেন। 

জানা যায়, বাণিজ্যক ভিত্তিতে লেবু সাধারণত পাহাড়ি ও উঁচু জমির ফসল হলেও সৈয়দ আহাম্মদ সর্বপ্রথম ধানি নীছু জমিতে লেবু চাষ করে প্রচলিত সে ধারণা পাল্টে দিয়েছেন। তবে লেবুর কলম লাগানোর স্থানটিকে উঁচু স্তুপ করে নিতে হয়েছে।

বুধবার সকালে সরোজমিনে গিয়ে দেখাযায় সৈয়দ আহাম্মদের লেবু বাগানে হাটু পানি রয়েছে। সে বাগানে শতশত লেবু গাছ থোকায় থোকায় লেবু ধরে আছে। বাগানে লেবু তোলার কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন সৈয়দ আহাম্মদ।

তিনি জানান, লেবু বারমাসি ফসল। সারা বছরই কমবেশী লেবু উৎপাদিত হয়। ৬ বছর ধরে তিনি লেবু চাষ করে আসলেও কৃষি বিভাগ থেকে তিনি কোন প্রকার পরামর্শ বলা সহযোগীতা পাননি।

স্থানীয় বাসিন্দা ও লক্ষ্মীপুরে কর্মরত এলজিইডির উপসহকারি প্রকৌশলী সহিদুল ইসলাম বলেন, সমতলে বাণিজ্যিক ভাবে লেবু চাষ এই প্রথম দেখেছি। আগে আমাদের এলাকার মানুষ প্রবত্য চট্রগ্রামের পাহাড়ী লেবুর উপর নির্ভর থাকলেও সৈয়দ আহাম্মদের লেবু সে নির্ভরতা কমিয়ে দিয়েছে।

সৈয়দ আহাম্মদের দেখাদেখি আরও অনেকেই লেবুচাষে এগিয়ে আসবেন। এতে বেকারত্ব দূর হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় লেবুর চাহিদা পূরণ হবে।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়