মনজুর এ আজিজ: [২] অথচ সরকার দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে বরং ১৫ শতাংশ করের মাধ্যমে কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ দিচ্ছে। এতে দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মকে উৎসাহ করা হচ্ছে। এতে কালোটাকার বিস্তার আরও বাড়বে বলে মনে করছে ইক্যুইটিবিডি নামে একটি বেসরকারি সংস্থা।
[৩.১] শনিবার পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে দুর্নীতি বন্ধ ও অর্থ পাচার রোধ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, ইক্যুইটিবিডি নামে একটি বেসরকারি সংস্থার বর্তাব্যক্তিরা।
[৩.২] এসময় ইক্যুইটিবিডির সঙ্গে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, সিএসআরএল, এনডিএফ, সুন্দরবন সুরক্ষা আন্দোলন, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা ও ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ নামে ছয়টি সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
[৪] ইক্যুইটিবিডির প্রধান সঞ্চালক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা আয়কর ফাঁকি দেওয়া হয়। এই টাকা দিয়ে দরিদ্র মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি দ্বিগুণ করা যাবে বা মাথাপিছু স্বাস্থ্য বরাদ্দের চার গুণ বাড়ানো সম্ভব, কিংবা কয়েকটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বার্ষিক ভিত্তিতে সম্পদের বিবরণী দাখিল করার নিয়ম চালু করতে হবে। আর দুর্নীতি ধরা পড়লে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
[৫] শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভর্তুকি কমানোর কথা বলা হচ্ছে। তবে জনগণের কল্যাণে যেসব ভর্তুকি রয়েছে, তা কমানো উচিত হবে না বরং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান বাড়াতে পানি, স্বাস্থ্য, বিদ্যুতের মতো জীবন রক্ষাকারী সেবায় সরকারের উচিত আরও বেশি ভর্তুকি দেওয়া।
[৬] মূল বক্তব্যে কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আহসানুল করিম কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে- দুর্নীতি বন্ধে একটি সরকারি ব্যয় পর্যালোচনা কমিশন গঠন করা, দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারীদের প্রতিবছর সম্পদ ও ব্যাংক বিবরণী জমার নিয়ম করা, জনসেবা খাতে ভর্তুকি কমানোর পরিবর্তে সরকারের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বন্ধ করা এবং অর্থ পাচার ও কালোটাকা বন্ধে একটি আন্তর্দেশীয় ব্যাংক স্বচ্ছতা চুক্তি চালু করা। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এমএএ/এসসি/এনএইচ