শিরোনাম
◈ নয়াদিল্লির আদলে ঢাকায় মহানগর সরকার গঠনের সুপারিশ কমিশনের ◈ ১৫ বছর চাকরি করলেই পাওয়া যাবে পেনশন ◈ ট্রাম্পের 'সহায়তা স্থগিত', বাংলাদেশে মার্কিন কর্মসূচি ঢেলে সাজানোর সুযোগ ◈ নতুন দুই বিভাগ ও দেশকে চারটি প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাব সংস্কার কমিশনের ◈ 'ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে’ মানুষই ব্যবস্থা নেবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ বেরোবির ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ অফিস ফাঁকির অভিযোগে ◈ বিমানবন্দরে গ্রেফতার ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ◈ হাহাকার বেড়েই চলছে কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’-এ, বন্ধের পথে অনেক হোটেল-রেঁস্তোরা ◈ আওয়ামী লীগ নামে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ ◈ পরিবর্তন হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা, বাদ যাচ্ছে শেখ মুজিবের নাম

প্রকাশিত : ২২ জুন, ২০২৪, ০৫:৫৮ বিকাল
আপডেট : ২২ জুন, ২০২৪, ০৫:৫৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিন্ডিকেটের কারণে লোকসানের অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীদের 

চট্টগ্রামে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হাজার ৯৫০ পিস বেশি চামড়া সংগ্রহ

অনুজ দেব, চট্টগ্রাম: [২] চলতি মৌসুমে বৃহত্তর চট্টগ্রামে কোরবানি পশুর কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল সাড়ে তিন লাখ পিস। তবে নগরী ও উপজেলায় এ বছর সংগ্রহ হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯৫০ পিস চামড়া যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হাজার ৯৫০ পিস বেশি। 

[৩] সংগৃহীত মোট চামড়ার মধ্যে গরুর চামড়া দুই লাখ ৯৭ হাজার ১৫০ পিস, মহিষের চামড়া ১২ হাজার ২০০ পিস এবং ছাগলের চামড়া রয়েছে ৫১ হাজার ৬০০ পিস। আগামী সপ্তাহ থেকে জেলা শহরের চামড়া ঢাকায় যাবে বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।

[৪] সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারিভাবে কোরবানি পশুর চামড়ার দাম নির্ধারিত থাকলেও চট্টগ্রামে তা মানা হয়নি। আড়তদাররা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেধে দেওয়া দরে চামড়া কিনেননি। আড়তদারদের সিন্ডিকেটের কারণে খুচরা ব্যবসায়ীরা লোকসান দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এদিকে ব্যবসায়ীরা এবার চামড়ার কদর কিছুটা বাড়বে বলে মনে করলেও গতবারের মতো এবারও কম দামে বিক্রি হয়েছে চামড়া। কোরবানিদাতারা পানির দরে চামড়া বিক্রির অভিযোগ করেছেন। 

[৫] প্রতিটি গরুর চামড়ার দাম সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা নির্ধারিত থাকলেও এর অর্ধেক দামেও বিক্রি হয়নি। ফলে মৌসুমী ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রিতাদের মধ্যে অনেকে দাম না পেয়ে কাঁচা চামড়া ফেলে দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকে ৬০০-৭০০ টাকার চামড়া ৩০০ টাকায় বিক্রির অভিযোগও করেছেন। কর্ণফুলী মার্কেট, বিবিরহাট গরুর বাজার এবং আতুরার ডিপো এলাকার সড়কে কাঁচা চামড়া ফেলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবীরা গত বছরের মতো এবারও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম নগরী ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে ট্রাকে ট্রাকে চামড়া সংগ্রহ চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেছেন যেগুলোর মধ্যে অধিকাংশই বিনামূল্যে।

[৬] বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিন আমাদেরসময়ডটকমকে বলেন, নগরী ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আমরা ন্যায্য দামেই চামড়া সংগ্রহ করছি। আমাদের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি চামড়া আমরা কিনেছি। ছোট আকারের গরুর চামড়া ৩-৪শ টাকা, মাঝারি আকারের ৫-৬শ টাকা এবং বড় আকারের চামড়া ৭-৯শ টাকা দরে কিনেছেন আড়তদাররা। চট্টগ্রামে ২০ থেকে ২৫ জন আড়তদারের মধ্যে অনেকের আর্থিক সংগতি ভালো না থাকার পরও চামড়া সংগ্রহ করেছেন। কিছু চামড়া আড়তে এসেছে আর কিছু চামড়া লবণ দিয়ে স্থানীয়ভাবে মজুদ করে রাখা হয়েছে।

[৭] গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বলেন, গাউসিয়া কমিটি চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর-দক্ষিণ থেকে ট্রাকে করে এবারও লক্ষাধিক পিসের মতো চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে যার একটি বড় অংশ নিজেদের ব্যবস্থাপনায় লবণযুক্ত করে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এরমধ্যে কিছু চামড়া ২২০-২৮০ এবং কয়েকটি স্থানে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।

[৮] সূত্রমতে, ২০১৩ সালে কোরবানির গরুর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ছিল ৮৫-৯০ টাকা। এরপর থেকে বিভিন্ন কারণে চামড়ার দাম ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। ২০১৯ সালে কোরবানির পশুর চামড়ার দামে বড় ধরনের ধস নামে। ন্যূনতম দাম না পেয়ে দেশের অনেক অঞ্চলে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া সড়কে ফেলে দেয় এবং কেউবা মাটিতে পুঁতে ফেলে। ওইবছর মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কেনা বন্ধ রেখেছিল আড়তদাররা।

[৯] বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এবার ঢাকার বাইরে গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দর ৫০-৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম এ বছর ২০-২৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৮-২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে ঢাকায় প্রতিটি গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় সর্বনিম্ন ১,২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১,০০০ টাকা। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়