সালেহ্ বিপ্লব: [২] বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন দ্য ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি) মনে করে, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির যে লক্ষ্যমাত্রা সরকার নির্ধারণ করেছে তা উচ্চাভিলাষী। তবে কার্যকরী পরিকল্পনার মাধ্যমে এই বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব। আর এ লক্ষ্য অর্জনে আর্থিক নীতির আরও সংস্কার প্রয়োজন।
[৩] সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২০২৪-২৫ সালের বাজেট সম্পর্কে পর্যালোচনা তুলে ধরেছে ফিকি। বাজেটের বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন ফিকি সভাপতি জাভেদ আখতার। উপস্থিত ছিলেন ফিকির উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি রূপালী চৌধুরী।
[৪.১] সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্য নিয়ে এবারের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। উপস্থাপিত বাজেটের বেশ কয়েকটি প্রস্তাবকে স্বাগত জানান ফিকি সভাপতি। তবে টেলিকম, কার্বনেটেড বেভারেজ ও ওয়াটার পিউরিফায়ারের ওপর আরোপিত শুল্ক ও করকে অতিরিক্ত দাবি করে এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
[৪.২] তিনি বলেন, এসব খাতে এই বর্ধিত কর ব্যবসার মুনাফা ও কার্যকারিতার ক্ষেত্রে কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে এবং বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করবে।
[৫] ব্যক্তিগত আয়কর হার বাড়ানোর প্রস্তাবের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফিকি। এটি সৎ করদাতাদের আয়কর দেয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করতে পারে বলে সংগঠনটির নেতারা মনে করেন। তবে কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে উৎসে কর হ্রাসের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :