মুযনিবীন নাইম: [২] গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে দুজনের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে। অন্য দুজনও রাজনৈতিক দলের কর্মী। তবে তাদের কোনো পদ আছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
[৩] মঙ্গলবার দিনগত রাতে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে,পল্টন থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন হোসেন রনি, আশিকুর রহমান পান্না, ও বিল্লাল হোসেনকে।
[৪] বুধবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, গত ৩০ নভেম্বর ছিলো দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। সেদিন বিকেল ৩ টার কিছু পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের পাশে ২-৩টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরপর ডিএমপির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কার্যালয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহাতীতভাবে সঠিক ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে আমরা কাজ করি। এরই ধারাবাহিকতায় আশিকুর রহমান পান্না ও পল্টন থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৫] তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা ভয়ংকর তথ্য দিয়েছে। রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় ছাড়াও আরও ৮টি স্থানে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। এছাড়া, রমনার বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন হোসেন রনি ও বিল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ১২টি ঘটনা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।
[৬] তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার চারজন মোট ২১টি ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু মামলা রয়েছে। আরও কোনো ঘটনায় জড়িত কি না এবং তাদের পেছনে কারা রয়েছে তাদেরও আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করবো। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
আপনার মতামত লিখুন :