শিরোনাম
◈ হারিয়ে যাওয়া ৫৩ টি মোবাইল উদ্ধার করে  মালিকদেরকে বুঝিয়ে দিলো ডিএমপি ◈ নবম শ্রেণীর পাঠ্যবই ’মেয়ে’ গল্প নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ও যে তথ্য দিলেন আসিফ মাহতাব (ভিডিও) ◈ আমি ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস মানি না: আসাদুজ্জামান ফুয়াদ (ভিডিও) ◈ যদি শেখ হাসিনা টিকে যেত এই সেমিনার কি হতো, প্রশ্ন আন্দালিব রহমান পার্থের (ভিডিও) ◈ নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি, নেট দুনিয়ায় তোলপাড়, ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল ◈ সাকিব-তামিম চাইলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পারবেন: বিসিবি সভাপতি ◈ নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে রোববার ভারত ও বাংলাদেশ মুখোমুখি ◈ ঢাকা মেট্রোকে হারিয়ে এনসিএল ক্রিকেটের ফাইনালে রংপুর বিভাগ ◈ আইসিসির কাছে বিশপের সুপারিশ, শামীম-জাকেরকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার দেয়া হোক  ◈ ‘জনশক্তি’ নামে কোনো রাজনৈতিক দল গঠনের আলোচনা হয়নি, জানালো জাতীয় নাগরিক কমিটি

প্রকাশিত : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৬:০৩ বিকাল
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৬:০৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২৯ বছর পর গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার মো.মিজান ওরফে শাহিন

সনতচক্রবর্ত্তী: [২] গোপালগঞ্জ জেলার সদর এলাকায় চাঞ্চল্যকর চায়ের দোকানদার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে দীর্ঘ ২৯ বছর পর ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০।

[৩] গ্রেফতারকৃত আসামি হলেন, গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন কাঠি গ্রামের মৃত ওয়াদুদ দফাদাদের ছেলে মো.মিজান ওরফে শাহিন (৪৬)।

[৪] শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি জানতে পেরে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত চাঞ্চল্যকর চা দোকানদার সেকান্দার শেখ হত্যার জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। 

[৫] এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাবের একটি আভিযানিক দল গতকাল ২১ সেপ্টেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে পলাতক আসামি মো.মিজান ওরফে শাহিনকে গ্রেপ্তার করে।

[৬] র‍্যাব আরো জানায়, গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন তেলিগতি এলাকার মৃত নজির শেখের ছেলে সেকেন্দার শেখ (৩০), উক্ত এলাকার কাঠি বাজারে চায়ের দোকান দিয়ে তার জীবিকা নির্বাহ করতো।

[৭] গত ১৯৯৪ সালের ১৪ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৮টার দিকে সেকান্দার প্রতিদিনের ন্যায় চা বিক্রি শেষে তার নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করে। পথিমধ্যে গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন কাঠি পশ্চিম পাড়া এলাকার কাঁচা রাস্তার উপর পৌছালে আনুমানিক রাত ১০টার দিকে ওই রাস্তার পাশে কিছু লোককে ফাকা জমির উপর বসে থাকতে দেখে সেকান্দার তাদের দিকে টর্চ লাইটের আলো ফেলে। অতঃপর টর্চ লাইটের আলোতে সে দেখতে পায় ৭ থেকে ৮জন লোক সেখানে বসে গাঁজা সেবন করছে। 

[৮] সেকান্দার তাদেরকে গাঁজা সেবনে মৌখিক ভাবে বাধা দিলে মো. মিজান ওরফে শাহিনসহ তার অন্যান্য সহযোগী মিলে সেকান্দারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের কাছে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে সেকান্দারের বুকে, পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে সংবাদ দিলে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ভিকটিম সেকান্দারের মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করতে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

[৯] এ ঘটনার পর মৃত সেকেন্দার শেখ এর ভাই এনায়েত শেখ বাদি হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাই আত্মগোপনে চলে যায়। তাদের মধ্যে মো.মিজান ওরফে শাহিন কৌশলে মালয়েশিয়া চলে যায়। দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া অবস্থান করার পর দেশে ফিরে আসে। পরবর্তীতে সে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তার নাম ও পরিচয় গোপন করে লোকচক্ষুর আড়ালে চুপিসারে জীবনযাপন করতে থাকে।

[১০] র‍্যাব-১০, ফরিদপুর সিপিসি-৩ কোম্পানী অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামি হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রতিনিধি/জেএ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়