মাসুদ আলম: [২] বৃহস্পতিবার কাওরান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ এ কথা জানান। কিডনি কেনাবেচার সিন্ডিকেটের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এসব তথ্য পেয়েছে র্যাব।
[৩] তিনি বলেন, বিদেশে অবস্থানরত একেকজন কিডনি ক্রেতা জীবন বাঁচাতে ৪৫-৫০ লাখ টাকা খরচ করে কিডনি ক্রয় করেন। এই টাকার মাত্র ৪-৫ লাখ টাকা পায় ডোনার। ৫-১০ লাখ টাকার ভাগবাটোয়ারা হয় দেশের ভেতরে সক্রিয় দালাল, অসাধু ট্রাভেল এজেন্ট এবং অন্যান্য প্রতারকদের মধ্যে। বাকি প্রায় ৩০ লাখ টাকা ভোগ করে বিদেশে অবস্থানরত কিডনি পাচার সিন্ডিকেট।
[৪] তিনি আরও বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে দারিদ্র্যসীমার নিচের অসহায় মানুষগুলোকে টার্গেট করে প্রতারণার ফাঁদ পাতে এই চক্র। কখনও তারা বলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে একটির বেশি কিডনি দরকার নেই, কখনও মিথ্যা আশ্বাস দেয় যে চিকিৎসার খরচ তারা বহন করবে। টাকার লোভে কিডনি হারিয়ে প্রায়ই অকর্মণ্য হয়ে গিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে অসহায় মানুষগুলো।
[৫] চক্রটির কার্যক্রম সম্পর্কে অধিনায়ক বলেন, চক্রটি চারটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করে। প্রথম গ্রুপ বিদেশে অবস্থান করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট প্রয়োজন এমন বিত্তশালী রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। দেশে থাকা মূলহোতা আনিছ ঢাকায় বসে বিদেশে ডোনার পাঠানোর বিষয় তদারকি করে। চক্রের তৃতীয় দলটির সদস্য আরিফ এবং তুহিন প্রথম দলের চাহিদা অনুযায়ী দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব মানুষদের চিহ্নিত করে এবং তাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অর্থের বিনিময়ে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের জন্য ডোনার হতে প্রলুব্ধ করে ঢাকায় নিয়ে আসে।
[৬] সম্প্রতি সরকারি একটি স্বনামধন্য হাসপাতালে দেশের প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপনে প্রতারণার বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছে। এই প্রতারণার সঙ্গে এই চক্রটি জড়িত কি না প্রশ্নে র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, না, তাদের জড়িত থাকার এমন কোনো তথ্য আমরা পাইনি।
[৭] র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার কিডনি সিন্ডিকেটের ৫ সদস্য হলো মো. আনিছুর রহমান, মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে রাজিব, সালাউদ্দিন তুহিন, এনামুল হোসেন পারভেজ (ডোনার) ও সাইফুল ইসলাম। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এমএ/এসবি/এনএইচ