শিরোনাম
◈ গণহত্যা মামলা: কারাগারে পুলিশ কর্মকর্তা জসিম ◈ খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ৩ ইউপিডিএফ কর্মী নিহত, অবরোধের ডাক ◈ ঠাকুরগাঁওয়ে মন্দিরে ১৪৪ ধারা জারি ◈ গ্রাহকরা টাকা না পেয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকে দিলেন তালা  ◈ হাসিনার আমলে বাংলাদেশে ঢুকলে ফিরিয়ে দিত, এই সরকার কঠোর আচরণ করছে : ভারতীয় জেলেদের সংবাদ সম্মেলন ◈ ৩৫ প্রত্যাশীরা ফের আন্দোলনে, পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামানে ছত্রভঙ্গ ◈ দুইটি হজ প্যাকেজের খরচ এর বিষয় যা জানাগেল ◈ রাজনীতিবিদ ছাড়া সংস্কার সফল হতে পারে না : মির্জা ফখরুল ◈ অন্তর্বর্তী সরকারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের প্রভাব : ডয়চে ভেলে প্রতিবেদন ◈ প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ

প্রকাশিত : ১০ জুন, ২০২৩, ০৮:২১ সকাল
আপডেট : ১০ জুন, ২০২৩, ০৮:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পটুয়াখালীতে যৌতুকের দাবিতে আগুনে ঝলসে দেওয়া সেই গৃহবধূর মৃত্যু

নিনা আফরিন, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় প্রকাশ্য দিবালোকে কেরোসিন ঢেলে আগুনে ঝলসে দেওয়া গৃহবধূ হালিমা আক্তার মীম মারা গেছেন। শুক্রবার (৯ জুন) বিকেলে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

মীমের মামা ওমর ফারুক হাওলাদার, স্বামী প্রিন্সের ফুপা লাল মিয়া হাওলাদার এবং দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বশার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিকেলে উপজেলার নূতন বাজার সংলগ্ন শাহজাহান মুন্সির (দারোগা) ভাড়াটে বাসায় মীমের হাত-পা ও মুখ বেঁধে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে পালিয়ে যায় বোরখা পরিহিত দুই দুর্বৃত্ত। আগুনে ওই গৃহবধূর হাত বুক, পেটসহ শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়। ঝলসে যায় তার শিশু সন্তান ওয়ালিফ হোসেন জিসানের হাত মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান। স্থানীয়রা তার ডাক চিৎকারে দরজা খুলে তাদের উদ্ধার করেন। চিকিৎসার জন্য তাদের প্রথমে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে শেখ হাসিনা বার্ণ ইনিস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে ভর্তি হতে না পেরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন তারা। শুক্রবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মীম।

মীম উপজেলার দুমকী সাতানি গ্রামের জামাল হোসেন প্রিন্সের স্ত্রী। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে তারা শাহজাহান দারোগার ভাড়াটে বাসায় বসবাস করছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরের খাবার খেয়ে সবাই যে যার বাসায় বিশ্রাম করছিলেন। হঠাৎ প্রতিবেশী নতুন ভাড়াটে বাসায় চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে বাইরে থেকে দরজার ছিটকানী বন্ধ দেখতে পান। ভেতরে ঢুকে অগ্নিদগ্ধ  মিমকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা ও জিসানকে আগুনে ঝলসানো অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তারা পানি ঢেলে আগুন নিভিয়ে হাসপাতালে পাঠান।

দুমকি অফিসার ইনচার্জ আবুল বশার জানান, মিমের মামা ওমর ফারুক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে শুক্রবার দুপুরে মিমের শাশুড়ি পিয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে সোপার্দ করা হবে। 

তিনি আরো বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হবে। সম্পাদনা: হ্যাপী

প্রতিনিধি/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়