মাসুদ আলম: রাজধানীর রামপুরার পূর্ব হাজীপাড়ায় স্ত্রী নিনা খানকে (৪৫) কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী গিয়াস উদ্দিনক্যে আটক করে রামপুরা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিলে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। তার শরীরে ক্ষতের পাশাপাশি দগ্ধের চিহ্ন রয়েছে।
নিনা খানের ভাই শওকত হোসেন খান বলেন, ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে বিয়ে হয় তাদের। তারা মগবাজার মেট লাইফ ইনস্যুরেন্সের শওকত এজেন্সিতে কাজ করতেন। দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটলেও তার স্বামী শওকত আমাদের বিকেল ৩টায় জানান, আমার বোন নাকি আগুনে দগ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে দেখি আমার বোন আর নেই। তার কপালে ও মুখে ধারালো অস্ত্রের দুটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং তার শরীরে পোড়ার চিহ্নও আছে।
তিনি আরও বলেন, আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তার স্বামী গিয়াস উনি। পরে সে আগুনে পুড়ে গেছে বলে নাটক সাজান তিনি। গিয়াস তার স্ত্রীর নিনার কাছ থেকে বিভিন্ন কথা বলে দুই লাখ টাকা ও ১৮ ভরি স্বর্ণ নিয়ে নেন। এ টাকাগুলো নিয়েছেন ধার শোধ করা ও বিভিন্ন অজুহাতের কথা বলে। এসবসহ নানা কারণে নিনাকে হত্যা করা হতে পারে। তাদের কোনো সন্তান ছিল না। তারা রামপুরা থানার পূর্ব হাজিপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন তারা। আমাদের বাড়ি নরসিংদী জেলার পলাশ থানা এলাকায়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের এক চিকিৎসক বলেন, নিনার শরীর পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি তাতে ক্ষতচিহ্ন ছিল। তার স্বামীর তাড়াহুড়া দেখে চিকিৎসকের সন্দেহ হয়। পরে হাসপাতাল থেকে থানায় ফোন করলে পুলিশ এসে বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে স্বামীকে আটক করে।
রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতে হাসপাতাল থেকে নিহতের স্বামী গিয়াস উদ্দিনকে আটক করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে সাংসারিক মনোমালিন্যের কারণে গিয়াস নিনাকে হত্যা করেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
এমএ/এসএ
আপনার মতামত লিখুন :