মাসুদ আলম: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মোশা বাহিনীর প্রধান শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া ওরফে মোশা ও তার সহযোগী দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। দেশ থেকে পালানোর পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। অবৈধভাবে ভারতে পালানোর উদ্দেশে দেলোয়ারকে নিয়ে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে আত্মগোপন করেন। সেখান থেকে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হত্যা, ধর্ষণ, অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, চাঁদাবাজি, মাদক, প্রতারণাসহ অন্তত ৪০ মামলার আসামি মোশা। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রূপগঞ্জের নাওড়া এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন যাবত রূপগঞ্জ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় হত্যাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।
মোশার দলের সদস্য সংখ্যা ৭০-৮০ জন। মোশারফের নেতৃত্বে দলের সদস্যরা অর্থের বিনিময়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। কেউ চাঁদা দিতে রাজি না হলে মোশা বাহিনীর সন্ত্রাসীরা দেশী ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাতেন।
তিনি আরও বলেন, গত ২৫ মে রূপগঞ্জের নাওড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সহিংসতার সৃষ্টি হলে মোশা বাহিনীর লোকজন এলাকায় শোডাউন, লোকজনকে মারধর ও গুলিবর্ষণ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মোশা বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশারফকে গ্রেপ্তার করার পর সন্ত্রাসীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর ব্যাপকভাবে চড়াও হয়। গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৫/৬ জন পুলিশ সদস্যকে আহত করে মোশারফকে ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
মঈন বলেন, মোশারফ স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে অস্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য সে ‘মোশা বাহিনী’ নামে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। বিভিন্ন মেয়াদে তিনি একাধিকবার কারাভোগ করেছেন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএ/টিএবি/এএ
আপনার মতামত লিখুন :