আশরাফুল নয়ন, নওগাঁ: এ সময় ডাকাতি হওয়া ট্রাকসহ ৩৪২ বস্তা চাল বিক্রয়ের ২ লাখ ১৬ হাজার ৪৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক বলেন, গত ২২মার্চ রাতে নওগাঁ সদরের বাইপাস সড়ক থেকে ৮ ডাকাত ট্রাকের চালক ও হেলপারকে বেঁধে রেখে একটি চাল বোঝাই ট্রাক ডাকাতি করে। ওই সময় ট্রাকটি চারশো বস্তা আতপ চাল নিয়ে গাইবান্ধা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাচ্ছিল। রাত একটার পরে সদরের বাইপাস সড়কের ইকরতারা নামক রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে ট্রাকটি থামায়। পরে ড্রাইভার এবং হেলপারকে নামিয়ে রাস্তার উত্তর পাশে মাঠের মধ্যে হাত পা বেঁধে রেখে দুই ডাকাত ট্রাকটি নিয়ে চলে যায়।
ভোরে ড্রাইভার এবং হেলপার কৌশলে তাদের হাতের বাঁধন খুলে পাশে লোকালায়ে গিয়ে বিষয়টি জানালে তারা সকালবেলা পুলিশকে জানায়।
নওগাঁর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের হলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গাজিউর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকটি টিম ডাকাতদের সনাক্ত করার জন্য কার্যক্রম শুরু করে। একপর্যায়ে বগুড়া জেলার শেরপুর থানার রানিরহাটে পরিত্যক্ত অবস্থায় ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়।
এরপর প্রযুক্তি এবং সোর্সকে কাজে লাগিয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, ডাকাতিকৃত চাল শেরপুর থানার একটি গোডাউনে আনলোড করা হয়েছে ২৮ মার্চ সেখানে অভিযান চালিয়ে ডাকাতিকৃত চালের দুই জন ক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ডাকাত সোহাগের বাড়ী থেকে দশ বস্তা চাল এবং বগুড়া সদরের নিশিন্দারা হতে বিশ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও গত ২৯ মার্চ কাহালু থানা এলাকা থেকে শাজির উদ্দীন মন্ডল ওরফে মিলন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে তার কাছে থেকে ১১১ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। এরপর ২৯ মার্চ ডাকাত জিয়াকে কাহালু থানা এলাকা থেকে এবং ৩০ মার্চ রাতে ডাকাত শাজাহান ওরফে লালন, মেহেদী এবং ইউসুফকে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানা থেকে ও নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। ডাকাত মেহেদী হাসান ও ইউসুফ বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
দেশের বিভিন্ন জেলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি জিয়ার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ ৭টি, আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ ৪টি, মেহেদীর বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ ২টি, রতনের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ ৭টি এবং রাজু পালোয়ানের বিরুদ্ধে খুন-ডাকাতিসহ ৮টি মামলা রয়েছে। সম্পাদনা: ইস্রাফিল ফকির
প্রতিনিধি/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :