শিরোনাম
◈ রাজধানীর যেসব এলাকায় আজ (৩১ অক্টোবর) গ্যাস থাকবে না  ◈ ‘গুয়াম কিলার’-এর সংখ্যা বৃদ্ধি করছে চিন, কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আমেরিকার ◈ ছাত্রলীগকে প্রশ্রয় দেওয়ায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০ ◈ লালমনিরহাটে হাসপাতালের টেন্ডার জমাদানে বাঁধা, যুবদল নেতা আটক ◈ বিব্রত শায়খ আহমাদুল্লাহ, জানালেন অস্বস্তির কথা ◈ ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অটোপাস দেবে না’ ◈ সায়েমা ওয়াজেদ ‘নিষ্ক্রিয়’, বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সরাসরি কাজ করবে ◈ সাফ শিরোপা জয়ের জন্য বাংলাদেশের নারী খেলোয়াড়দের অভিনন্দন প্রধান উপদেষ্টার ◈ ফের আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, কাল থেকে কার্যকর ◈ এই ইউএনও চলেন ‘ঘড়ির কাঁটায় কাঁটায়’

প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:২০ দুপুর
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৫:১৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

থাকেন ভারতে, চাকুরী করেন বাংলাদেশে

প্রতিকী ছবি

এইচ এম মিলন, কালকিনি (মাদারীপুর) : মাদারীপুরের ডাসারে ছুটি না নিয়ে মাসের পর মাস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে যে, উপজেলার ১৪৫নং পশ্চিম শশিকর ওয়াপদারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তমা রায় প্রায় অর্ধবছর ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে যোগদান করেন ১৬/০৩/২০২০ইং তারিখ। কিন্তু গত মার্চ  মাসের ২৩ তারিখ থেকে তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন।

এতে করে একদিকে বিদ্যালয়টি শিক্ষক সংকটে ভুগছে অন্যদিকে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম।

বিদ্যালয় সূত্রে আরো জানা গেছে,বিদ্যালয়টিতে মোট পাঁচজন শিক্ষকের পদ রয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা অনুপস্থিত, সহকারী এক শিক্ষিকা চিকিৎসা জনিত কারণে ছুটিতে রয়েছেন।

বর্তমানে বিদ্যালয়ে তিনজন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় শতাধিক। ওই শিক্ষিকার এলাকায় খোঁজ নিয়ে  তাঁর পরিবার ও তার কোন  সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তবে এলাকাবাসী বলছে, তিনি ও তাঁর পরিবার সবাই বসবাসের জন্য বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়া পাড়ি জমিয়েছেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় সরকার বলেন,গত ২৩মার্চ চিকিৎসার কথা বলে চলে যাওয়ার পর থেকে আমাদের প্রধান শিক্ষক আর স্কুলে আসেননি, তিনি কোনো ছুটির দরখাস্তও করেননি, আমরা তাঁর সাথে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু তাঁর কোনো খোঁজ পাইনি, তাঁকে অনেক বার ফোন করাও হয়েছে কিন্তু তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনিও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না।
এ বিষয়ে ইতিমধ্যে আমরা শিক্ষা অফিসকে জানিয়েছি তারা আমাদেরকে চিঠি পাঠিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন,এমনিভাবে আমাদের প্রধান শিক্ষকের নিরুদ্দেশ হওয়াটা আমরা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমাদের বিদ্যালয় শিক্ষক সংকটে ভুগছে।

বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীর পাঠদান ও অফিসিয়াল কার্যক্রম আমরা যথাযথ ভাবে পালন করতে পারছি না।

এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। উপজেলা সহকারী  শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,আমরা বিদ্যালয়টিতে বেশ কয়েকবার পরিদর্শন করেছি এবং এ পর্যন্ত তিনটি শোকজ পাঠিয়েছি।

এখন আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। যাহা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন ইয়াছমীন বলেন,প্রধান শিক্ষিকার অনুপস্থিতির বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। সম্পাদনা: আল আমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়