শিরোনাম
◈ বাণিজ্য–ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ কী কী পদক্ষেপ নিতে চায়, জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ◈ মেঘনার সহযোগী সমির সৌদি রাষ্ট্রদূতের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন, পুলিশের প্রতিবেদন ◈ ডলারের ব্যাপক দরপতন, তেজি হয়ে উঠল সোনা ◈ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপির ৬ নেতা আহত, আটক ৩  ◈ মুসলিম দেশগুলো গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে একমত ◈ সৌদি রাষ্ট্রদূত ও মডেল মেঘনার পরিচয় আট মাসের, চার মাসে ‘বাগদান’ ◈ ‘মহাকাশ প্রযুক্তিতে সহযোগিতা বাংলাদেশ-তুরস্কের জন্য লাভজনক হবে’ ◈ ডিসেম্বরে ভোট ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি ◈ আজকের এই সমাবেশ কেবল প্রতিবাদ নয়,  একটি অঙ্গীকার, একটি শপথ ◈ আরও ৬ হাজার টন চাল এলো ভারত থেকে

প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৩৩ দুপুর
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:৩৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ট্রাইব্যুনালের বিচার ঠেকাতে ফ্যাসিস্ট সুবিধাভোগীদের ব্রিটিশ লবিষ্ট ফার্ম  নিয়োগ, অভিযোগ প্রসিকিউশনের

বিপুল অর্থ ব্যয়ে ব্রিটেনের বিখ্যাত আইনজীবী ফার্ম ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর অভিযোগ আনার জন্য।

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পলাতক সুবিধাভোগীরা বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকি তদন্ত কার্যক্রম এবং বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বিদেশী লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে জানানো হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিতভাবে তদন্ত কার্যক্রম এবং প্রসিকিউটরদের সম্পর্কে গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে বা মিথ্যা অপবাদ প্রদানের মাধ্যমে জনমনে বিশেষত শহীদ পরিবারদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিদেশী লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) সমন্বিত এবং পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

প্রসিকিউশন থেকে জানানো হয়েছে, বিপুল অর্থ ব্যয়ে ব্রিটেনের বিখ্যাত আইনজীবী ফার্ম ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর অভিযোগ আনার জন্য।

গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্যপ্রমাণ বিনষ্টের অপচেষ্টা : ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে অভিযোগ করা হয়েছে বিগত সরকার পতনের পর ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ ব্যক্তিরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্যপ্রমাণ বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছে। থানা, হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের দলিলপত্রাদি পুড়িয়ে বা লুকিয়ে নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধমূলক স্থাপনার আকার আকৃতি, দেয়াল ইত্যাদি ভেঙে এবং বিকৃত করে প্রমাণ লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তাগণ এগুলো ট্রেস করে পুনরুদ্ধার করতে কাজ করছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ডিজিটাল অ্যাভিডেন্স, যেমন- ভিডিও, অডিও, ইন্টারনেট ডাটা ইত্যাদি ডিলিট করা বা ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিলিট হওয়া সব তথ্যপ্রমাণাদি রিকভারি এবং রিস্টোর করার কাজ করে চলেছেন।

গুমের মামলা তদন্তের সময় বোমা হামলার চেষ্টা : গুমের মামলা তদন্ত করতে যাওয়া দলকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং প্রসিকিউশন টিমের ওপরে সরাসরি প্রাণঘাতী বোমা হামলার চেষ্টা বা ষড়যন্ত্র হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা গুমের মামলাগুলো তদন্ত করছে। টিএফআই সেলের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেটার ভেতরে ভূগর্ভস্থ অনেকটা বলা যাবে, সেমি ভূগর্ভস্থ সেলগুলো আবিষ্কার করেছে। যেগুলো ওয়াল তুলে বন্ধ করা হয়েছে। সেই ওয়াল ভাঙতে হয়েছে। পুরো গার্বেজ দিয়ে সেটাকে ভরে রাখা হয়েছে। সেগুলো সরিয়ে ক্রাইম সিনগুলো বের করতে হয়েছে। চিফ প্রসিকিউটর এই ইনভেস্টিগেশন চলাকালে প্রেজেন্ট ছিলেন। সেখানে বোমা ফিট করা ছিল। সেখানে একটি বালতিতে গজ ব্যান্ডেজ, ধুলাবালু ছিল। ওই বালতিটা একটি পুরাতন গদিওয়ালা চেয়ারে ঢালার পর দেখা গেল লাল টেপ মারা বড় বড় ৫টি বোমা বেরিয়ে এসেছে। সেই বোমাগুলোর সাথে টাইমার সেট করা ছিল। অ্যাপারেন্টলি বোঝা যায় যে এই ইনভেস্টিগেশন করতে যারা গিয়েছে, তাদের হত্যা করারও চেষ্টা করা হয়েছে। এমন কিছু ঘটনা আছে সব আমরা বলব না। বোম ডিসপোজাল ইউনিট বাইরে এনে একটি একটি করে বিস্ফোরণ ঘটায়। তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি এই বোমাগুলোর পাওয়ার কেমন। জবাবে তারা বলেছেন, ৫টি বোমা একসাথে ছিল। একত্রে বিস্ফোরণ হলে পুরো বিল্ডিং উড়ে যেত। তিনি বলেন, এখনো একটি বন্দিশালা আছে যেটা আমরা খোঁজার চেষ্টা করছি। এই যে বন্দিশালা এর সাথে কয়েক হাজার বন্দীর সম্পর্ক আছে। তারা বিভিন্ন সময় এই বন্দিশালায় গিয়েছিলেন। নির্যাতিত হয়েছেন। অনেকে ফিরে এসেছেন। আর অনেকে কোনো দিন ফিরে আসেননি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়