রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে আবাসিক ভবনে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ডাকাতিতে ব্যবহার করা হয়েছে র্যাবের মতো পোশাক, পাশাপাশি পরিচয় দেওয়া হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ছাত্রদের। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে পালিয়ে যাওয়া অন্য ডাকাতরা নিয়ে গেছে প্রায় ২৫ লাখ নগদ টাকা এবং কিছু স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
বুধবার (২৬ মার্চ) ভোরের দিকে ধানমন্ডির ৮ নম্বর সড়কের একটি বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
এ সময় ডাকাতরা “অলঙ্কার নিকেতন জুয়েলার্স” নামের একটি স্বর্ণের দোকানের মালিক এম এ হান্নান আজাদের ফ্ল্যাটে ঢুকে লুটপাট করে। এছাড়া, ভবনটির তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় একটি অফিস থেকে ডাকাতরা নগদ প্রায় ২৫ লাখ টাকা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “বুধবার ভোরের দিকে ধানমন্ডির ৮ নম্বর সড়কের একটি বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রায় ২০ থেকে ২৫ জনের একটি ডাকাত দল ওই বাসায় ডাকাতি করতে যায়। তারা সেখানে র্যাব, ম্যাজিস্ট্রেট এবং ছাত্রের পরিচয় দেয়। ডাকাতদলের ১০ জনের মতো র্যাবের পোশাকে ছিলেন। এরপর বাসাটিতে ডাকাতি শুরু করে। বাসার মালিক তাৎক্ষণিকভাবে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পাশেই একটি ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। বাসাটির পাশেই সেখানকার শ্রমিকেরা পুলিশকে সহযোগিতা করে চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। ডাকাতদের ধরতে গিয়ে পুলিশের দুজন সদস্য আহত হন।”
এসি শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান বলেন, “বাসাটি থেকে এক-দেড় লাখ এবং জুয়েলার্সের মালিকের স্ত্রীর ব্যবহৃত কিছু স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় ডাকাতরা। তবে ভবনটির তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় একটি অফিস রয়েছে, সেখান থেকে ২০-২৫ লাখ টাকা নিয়ে গেছে ডাকাতরা।”
তিনি জানান, এ ঘটনায় জুয়েলার্স ব্যাবসায়ী এম এ হান্নান আজাদ বাদী হয়ে ধানমন্ডি মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। মামলায় গ্রেপ্তার চারজনসহ পলাতকদের আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এরই মধ্যে পলাতক কয়েকজন ডাকাতকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের শনাক্তের কাজ চলমান, এরপর তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।