রাজধানী ঢাকার উত্তরা থেকে হা-মীম গ্রুপের জিএম আহসান উল্লাহ হাসানের (৪৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ নূরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৩ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। নূরুজ্জামান জানান, দুপুর ১২টার দিকে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর রোড সংলগ্ন জঙ্গলের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানান।
ইতোমধ্যে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মর্গ সূত্র জানিয়েছে, মরদেহ পচতে শুরু করায় অনেক আলামত অস্পষ্ট হয়ে গেছে। তবে মাথায় আঘাতের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আহসানের বড় ভাই রাকিব উল্লাহ জানান, তার ভাই উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন। গত ২৩ মার্চ আশুলিয়ায় অফিস শেষে তিনি বাসার উদ্দেশে বের হয়েছিলেন। এরপর তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আহসানের গাড়িচালক সাইফুল ইসলামও নিখোঁজ রয়েছেন।
রাকিব আরও জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর আহসানের পকেটে একটি এটিএম কার্ড পাওয়া গেছে। সেখান থেকে ৩০ হাজার এবং বিকাশ ২০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
'আমাদের ধারণা, টাকার জন্য আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে,' বলেন রাকিব।
একই ধারণা পুলিশেরও। নূরুজ্জামান বলেন, 'গতকাল আহসানের স্ত্রী লুৎফুন্নাহার বাদী হয়ে অপহরণ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে তদন্ত করা হবে।'
'আমরা আসামিকে ধরার চেষ্টা করছি,' বলেন তিনি।