শিরোনাম
◈ লম্বা ছুটি এবার ঈদে, কবে থেকে কতদিন ◈ ভারতের হিন্দু-মুসলিম সহিংসতার শুরু যেভাবে ◈ কুমিরের পেট থেকে ইন্দোনেশিয়ান নারীর অলৌকিকভাবে বেঁচে ফেরার গল্প! (ভিডিও) ◈ উদ্বোধন হলো দেশের দীর্ঘতম রেল সেতুর ◈ শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের দ্বিতীয় আর তামান্নার তৃতীয় বিয়ে, প্রথমে বিয়ে করে তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে ◈ নতুন দলের নিবন্ধন বিষয়ে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি হাইকোর্টে স্থগিত ◈ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ, যা বললেন মুখপাত্র ◈ সাতক্ষীরায় এবার হাসপাতালের বিলবোর্ডে হঠাৎ ভেসে উঠল ‘আওয়ামী লীগ আবার ফিরবে’! ◈ উত্তর কোরিয়া ও চীনের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে জাপান ◈ মানুষের সম্পৃক্ততা ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে সক্ষম চীনে ডার্ক ফ্যাক্টরি!

প্রকাশিত : ১৭ মার্চ, ২০২৫, ১১:০৩ দুপুর
আপডেট : ১৮ মার্চ, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লিবিয়ায় মানবপাচার ও মুক্তিপণ আদায় চক্রের মূল হোতা ফখরুদ্দীন গ্রেপ্তার

লিবিয়ায় মানবপাচার ও মুক্তিপণ আদায় চক্রের মূল হোতা ফখরুদ্দীনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। গতকাল বিকেল পৌনে ৬টার সময় মিসরের কায়রো থেকে ঢাকায় অবতরণের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় বিমানবন্দর থেকে তাকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ট্রাফিক হেলপার শওকত আলীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। 

অভিযোগ আছে, দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশিদের লিবিয়া পাচার করত ফখরুদ্দীন ও তার চক্র।

পরে বন্দিশিবিরে আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন চালানো হতো তাদের ওপর। মুক্তিপণ আদায়ের পর ভুক্তভোগীদের মুক্তি না দিয়ে অন্য চক্রের কাছে বিক্রি করে দিতেন ফখরুদ্দীন। 

নির্যাতনের ভয়াবহতা সম্পর্কে পাচারের শিকার এক ভুক্তভোগী আশিকুর রহমান সুমন (২১) বলেন, আমাদের ছোট্ট একটি অন্ধকার কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল। দিনে একবার পচা খাবার দিত।

আমাদের খাবার পানিও দিত না। যারা পরিবারের থেকে টাকা আনতে ব্যর্থ হতো তাদের লোহার রড দিয়ে পেটানো হতো। অনেককে বিদ্যুতের শক দিত তারা।  

সুমন জানান, অমানবিক নির্যাতনের এই দৃশ্য সরাসরি দেখানো হতো পরিবারের সদস্যদের।

স্বজনকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে মুক্তিপণের টাকা পাঠাতো ভুক্তভোগীর স্বজনরা। তবে টাকা দেওয়ার পরও মুক্তি মিলত না ভুক্তভোগীদের। তাদের আবার নতুন মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হতো। একইভাবে মুক্তিপণ আদায়ের পর সুমনসহ কয়েকজনকে অন্য একটি চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয় ফখরুদ্দীন। সুমন সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও তার ১৬ সহযাত্রী এখনো সেখানে বন্দি রয়েছে।
 
জানা গেছে, কায়রো বিমানবন্দরে হঠাৎ ফখরুদ্দীনকে দেখতে পান সুমন। চিনতে পেরে দ্রুত তার ছবি তুলে ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছে পাঠান তিনি। পরে বিষয়টি  আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হলে বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে ফখরুদ্দিন ও তার সহযোগীকে বিমানবন্দর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। চক্রের বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।  

মুক্তিপণ আদায় করে ১৬ বাংলাদেশিকে অন্য একটি চক্রের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে ফখরুদ্দিন। ভুক্তভোগীরা বর্তমানে লিবিয়ার বেনগাজির একটি বন্দিশিবিরে রয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যরা ঢাকার বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন—

আমাদের সন্তানদের মুক্তির জন্য লাখ লাখ টাকা দিয়েছি, কিন্তু তারা এখনো বন্দি! ফখরুদ্দিন আমাদের সর্বনাশ করেছে, ওর কঠোর শাস্তি চাই!

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়