শিরোনাম
◈ ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি পুতিন! ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাসভবনে আগুন ◈ এবার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বক্তব্য নিয়ে জামাত যে বিবৃতিতে দিলেন ◈ ঢাবির সাবেক ভিসি ড. আরেফিন সিদ্দিক আর নেই ◈ আছিয়ার মৃত্যুতে কাঁদছে গোটা দেশ, দ্রুত বিচারের আশ্বাস ◈ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের লিগ্যাসি অনুপ্রেরণা হিসেবে থেকে যাবে: বিসিবি সভাপতি ◈ বাংলাদেশ সৌদিতে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে, ক্লোজড ডোর হওয়ায় ফলাফল জানাতে পারেনি বাফুফে ◈ একটি বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শাস্তির আইন পাশ করতে হবে : মির্জা ফখরুল  ◈ বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের অর্থ ছাড়ের দুই কিস্তির প্রস্তাব উঠছে জুনে ◈ ঢাবিতে ধর্ষণ-নিপীড়নের বিচারসহ ৩ দাবিতে ছাত্র-জনতার মশাল মিছিল

প্রকাশিত : ১৩ মার্চ, ২০২৫, ০৬:০৯ বিকাল
আপডেট : ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : মাসুদ আলম

কামরাঙ্গীরচরে যৌথ অভিযানে  গুলি, চারটি ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ১৩

মাসুদ আলম : রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে ৩০ রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি, চারটি ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনীর একটি টিম।

গ্রেফতারকৃতদের নাম-  সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন  (৬০),  মোঃ সাইফুল (৩২),  মোঃ ফারুক (৩৫), ছিদ্দিক ওরফে কুত্তা ছিদ্দিক (৪১),  রহমত (৪০),  খায়রুল (৪২),  পারভেজ (৪৫),  মোঃ ইউনুস সরদার (৪০),  মোঃ আল আমিন (৩২),  মোঃ আক্তার হোসেন (৩৪),  কবির শেখ (৪৩),  বাবুল (৩০) ও বাবু (২৫)।

গত মঙ্গলবার ও বুধবার  কামরাঙ্গীরচর এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি ককটেল, ৩০ রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি, একটি ডেগার ও একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার কামরাঙ্গীরচর থানা সূত্রে জানা যায়, কামরাঙ্গীরচর থানাধীন মুসলিমবাগ এলাকার বিআইডব্লিউটিএ এর ঠোঁটার মাঠ নামক স্থানে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মেলা আয়োজনের জন্য স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ চলছিলো। গত  ১১ মার্চ  বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ টেন্ডার ড্র করলে  পারভেজ ওরফে ছোট বাবু মাঠটি বরাদ্দ পায়। মাঠটি বরাদ্দ পাওয়ার পর ওইদিন রাত সাড়ে ৯ টায়  পারভেজ ওরফে ছোট বাবু ও তার আরো ৩০/৪০ সহযোগী মিলে মাঠের ঘাট এলাকায় একত্রিত হয়ে কিভাবে মাঠ পরিচালনা করবে সে বিষয়ে আলোচনা করছিলো। তখন প্রতিপক্ষ হাজী মনির চেয়ারম্যান গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাত ১০ টায় সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩/৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং পারভেজ গ্রুপের ৩/৪ জন সদস্যকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান গ্রুপ  মুসলিমবাগ এলাকায় ফারুক মেম্বারের বাড়ির সামনে পুনরায় ৮/১০ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং তার বসত বাড়ি ভাংচুর করে।  উক্ত ঘটনার ফারুক মেম্বারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা  করা হয়।

থানা সূত্রে আরও জানা যায়, মামলাটি  পর কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর টিম অভিযান পরিচালনা করে হাজী মোঃ মনির হোসেন এর বাড়ির দক্ষিণ পাশে জনৈক নুর ইসলাম এর বাসার ছাদ হতে চারটি ককটেল উদ্ধার করে ও তাদেরকে গ্রেফতার করে। উদ্ধারকৃত ককটেকগুলো জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল টিম কর্তৃক যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিষ্ক্রিয় করা হয়।

পরবর্তীতে ১২ মার্চ ভোরে সময়  হাজী মোঃ মনির চেয়ারম্যান এর বাসা তল্লাশীকালে তার বাসার ২য়j  তলায় অফিস কক্ষের আলমারির ড্রয়ারের ভিতর হতে ত্রিশ রাউন্ড পিস্তলের অবৈধ তাজা গুলি, একটি ডেগার ও  একটি ধারালো সুইচ গিয়ার চাকু জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মনির হোসেনের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় অস্ত্র আইনেও একটি মামলা  করা হয়েছে।

কামরাঙ্গীচর থানায় রুজুকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়