বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর অংশ হিসেবে গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি বস্তিতে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও অনেক অপরাধী গ্রেপ্তার হলেও গোপন সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে পালিয়ে গেছে অনেকে বলে জানা যায়।
শনিবার (১ মার্চ) রাতে টঙ্গীতে এ অভিযান পরিচালনা করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অভিযানের সময় সেনাবাহিনী লক্ষ্য করে, বস্তির কিছু ঘরে বিশেষ কাঠামো রয়েছে। যা পালানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি কক্ষে সুরঙ্গ পথ রয়েছে, যার মাধ্যমে অপরাধীরা সহজেই অন্য দিক দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে। এমনকি ঘরের নকশা এমনভাবে তৈরি যে, এক দিক থেকে বের হয়ে গেলে অন্য পাশ থেকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া যায়, ফলে তাদের ধরা কঠিন হয়ে পড়ে।
সেনাবাহিনী অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। তবে অভিযানের খবর পেয়ে অধিকাংশ অপরাধী পালিয়ে যায়। তবে প্রায় ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা মাদক ও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থার উন্নয়নকল্পে জেলা প্রশাসন গাজীপুর, গাজীপুর সেনাবাহিনী ক্যাম্প ও উত্তরা সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সঙ্গে বিজিবি, র্যাব ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যবৃন্দ যোগ দেন। আপনারা জানেন, মাজার বস্তি যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ছিনতাই রাহাজানিতে এসব এলাকার অনেক মানুষ জড়িত। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমরা এ অভিযানটি পরিচালনা করেছি। বস্তির বিশেষ সুড়ঙ্গের ভেতর দিয়ে অনেক অপরাধী পালিয়ে গেলেও আমরা ৬০ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ সূত্র: চ্যানেল২৪, আরটিভি