শিরোনাম
◈ আ.লীগ-ছাত্রলীগের নামে বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও)  ◈ নির্বাচন কবে? নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর: প্রেস সচিব (ভিডিও) ◈ দুবাইয়ে চালু হলো অভিনব রেল বাস ◈ বুকস্টলে বাগবিতন্ডা-হট্টগোলের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ গাজীপুর জেলা বিএনপির সংশোধিত আংশিক আহবায়ক কমিটি গঠন ◈ সোনার দাম বেড়ে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ  ◈ সেনাপ্রধানের সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ, যে আলোচনা হলো ◈ সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মজিদ খান গ্রেফতার ◈ ফেনীতে জামায়াত নেতা বহিষ্কার, নেপথ্যে যা জানা গেল ◈ সমাজবিরোধীরা কোনো ব্যক্তিকে হুমকি দিলে কঠোর ব্যবস্থা: পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪১ দুপুর
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাঠ্যবই ছাপাতেও 'ভারতের দাদাগিরি', সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েও কাজ পায়নি কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান !

সম্প্রতি কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানটি এ অনিয়ম খতিয়ে দেখতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) আবেদন করেছে। সর্বনিম্ন দরদাতা হলেও দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিকে বাদ দিয়ে প্রাথমিকের ৫০ কোটি টাকার পাঠ্যবই ছাপার কাজ দেওয়া হয় ভারতীয় প্রতিষ্ঠানকে। 

এ অভিযোগসহ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পাঠ্যবই ছাপার কাজে অনিয়ম ও বই বিতরণের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে গতকাল রোববার দুদকের একটি টিম এনসিটিবি কার্যালয়ে অভিযান চালায়।

দুদক সূত্র জানায়, ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকের দুই কোটি পাঠ্যবই ছাপার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানি টিপিএস দরপত্রে অংশ নেয়। ১৭ অংশগ্রহণকারীর মধ্যে তারা সর্বনিম্ন দরদাতা হয়। প্রায় ৫০ কোটি টাকার বই ছাপার কাজ টিপিএসকে না দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার উচ্চ মহলের ইশারায় ভারতের একটি কোম্পানিকে দেয়।

২০১১ সাল থেকে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে প্রাথমিকের বই ছাপানোর কাজ শুরু হলে, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার কয়েকটি ছাপাখানা অংশ নেয়। তবে সরকারি সিদ্ধান্তে একচেটিয়া কাজ পায় ভারতের কৃষ্ণা ট্রেডার্স, ভিকে উদ্যোগ, গফসন ও পৃতম্বরা বুকস এবং সুদর্শন বোর্ড অ্যান্ড পেপার। এ অনিয়মের সহযোগী ছিলেন এনসিটিবির সাবেক চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকসহ অন্যরা। ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের ছাপার নিম্নমান নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন উঠলেও চুপ ছিল গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকার।

গতকাল অভিযান পরিচালনাকারী দলে ছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক তাপস ভট্টাচার্য ও উপসহকারী পরিচালক রোকনুজ্জামান রোকন। পরে রোকনুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কিছু দুর্নীতির তথ্য যাচাইয়ে এনসিটিবি এলেও প্রয়োজনীয় নথির তেমন কিছুই পাইনি। চেয়ারম্যানসহ বেশির ভাগ কর্মকর্তা সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছেন। কোরিয়ান কোম্পানির অনিয়ম খতিয়ে দেখার আবেদনের কপি এনসিটিবি দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট আরও নথি প্রয়োজন। ফলে অনুসন্ধান কাজ চলবে। এসব অনিয়মের সঙ্গে কারা জড়িত কিংবা পরামর্শক হিসেবে কারা ছিলেন, তা বের করা হবে।

তিনি বলেন, সময়মতো বই না দেওয়া ও নিম্নমানের কাগজের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি সাবেক চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা। বই ছাপানো তদারকির নামে তিনি তিনবার ভারতে যান। তদারকিতেই খরচ করেছেন ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘দুদকের দাবি অনুযায়ী আমরা কিছু বিষয় দেখিয়েছি। তারা প্রয়োজন অনুযায়ী নথিগুলো প্রিন্ট করে নিয়েছে। আরও কিছু নথি তাদের জোগাড় করে দেব। আমরা চাই সত্য বেরিয়ে আসুক।’

এদিকে গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক জানায়, অভিযানে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান টিপিএসের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযানকালে ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির বিভিন্ন লটে বই মুদ্রণ-সংক্রান্ত বিষয়ে দরপত্র আহ্বান, অংশগ্রহণকারী প্রকাশনীর তথ্য, টেন্ডার মূল্যায়ন, কার্যাদেশ প্রদানসহ প্রতি বছরের বই ছাপা-সংক্রান্ত পরামর্শক, কাগজ কেনা ও মুদ্রণ তদারকি কমিটির সব তথ্য চাওয়া হয়েছে এনসিটিবির কাছে। এ সময় অভিযোগ-সংক্রান্ত বিষয়ে চেয়ারম্যান ও সচিবের বক্তব্য নেওয়া হয়। সূত্র : এখনটিভি ও সমকাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়