১৫ বছরে শেখ হাসিনাকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কুক্ষিগত করার সব আয়োজন করে ভারত। বিশ্লেষকরা বলছেন, সাগরতীরে অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ, ট্রানজিট কিংবা মৈত্রী সেতু; এসবের আড়ালে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রনের নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে দেশটি।
২০১৫ সালে ৬ জুন খাগড়াছড়িরে রামগড়ে ফেনী নদীর উপর বহুদিনের প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সেতু ১ এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৩৩ কোটি টাকার সেতুটির পুরো ব্যয় বহন করে ভারত। ২০২১ সালে ৯ মার্চ ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
স্থানীয়রা বলেন, যেখানে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে আমাদের দেশের জন্য তাদের যে অঙ্গরাজ্যটি ব্যবহার করা হয়েছে। সেখান থেকে আসার মতো তেমন কিছু নাই। এটা আমাদের জন্য অশনি সংকেত। কারণ যেকোন সময় তারা আমাদের আক্রমণ করতে পারে।
ভারতের পূর্ণ সুবিধার জন্য ভারতের সেতুর পাশেই নির্মিত হয়েছে রামগঞ্জ স্থল বন্দর। এই সেতুকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে ১১০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বারৈয়ারহাট ৩৮ কিলোমিটার চার লেনের সড়কের কাজ চলছে। মৈত্রী সেতু পর্যন্ত যোগাযোগকে সহজ করার জন্য পাহাড় ভেদ করে নির্মাণ করা হচ্ছে এই সড়কগুলো। এই সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকায় সন্দ্বীপ চ্যানেলের পাশে চট্টগ্রামের মিরসরাইকে গড়ে তোলা হচ্ছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে কেন্দ্র করে ভারত সরকার জন্য বরাদ্ধ রাখা হয়েছে ৯শ একর জমি বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলেন, চিকেন নেকে নিজেদের বিপদ এড়াতে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় ভারত। ফেনী নদীর উপর সেতু। সেতু কেন্দ্রিক সড়ক আর স্পর্শকাতর জায়গায় জমি বরাদ্ধকে বিপজ্জন মনে করছেন তারা।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের বাড়াবাড়ি করার জবাব দেওয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশের আছে।
সূত্র : একুশে টিভি, জনকন্ঠ
আপনার মতামত লিখুন :