শিরোনাম
◈ ‘কোথাও কিছু একটা ষড়যন্ত্র চলছে’ নিয়ে বিএনপির আশঙ্কার নেপথ্যে কী? ◈ ক্রিকেটার আকবর আলী জাতীয় লিগে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ  ◈ সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা গেলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দল ◈ ৩০০ বিষধর মাকড়সাসহ বিমানবন্দরে ধরা পড়ল পাচারকারী! ◈ উপজাতি ভোট ভাগ করতেই ঝাড়খণ্ডে বিজেপি মুসলমানদেরকে ‘বাংলাদেশী’ তকমা দিচ্ছে ◈ অটোরিকশা চালকদের অবরোধে দিনভর ভোগান্তি, অবশেষে মুক্ত  ◈ নতুন সিইসি কে এই নাসির উদ্দীন ◈ ইউক্রেনে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করল রাশিয়া ◈ খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত: প্রধান উপদেষ্টা ◈ সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের সঙ্গে পাশাপাশি বসেন, কথা বলেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:৫১ দুপুর
আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হিন্দু বাড়িতে হামলা-লুটপাট: বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ইদ্রিস গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জের ব্রাহ্মণকচুরি গ্রামে হিন্দু বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ইদ্রিস মিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ র‌্যাব-১৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হাই চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, র‌্যাব-২ এর সহযোগিতায় ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। 

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিন স্থানীয় রশিদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য ইদ্রিস মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক ব্রাহ্মণকচুরি গ্রামের প্রয়াত জয় কৃষ্ণ বর্মনের বাড়িতে হামলা-লুটপাট চালায়।

জয় কৃষ্ণ বর্মনের স্ত্রী গীতা রাণী বর্মন জানান, ওইদিন বিকেলে ইদ্রিসের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল তাদের বাড়িতে ঢুকে হামলা-ভাঙচুর শুরু করে। তাদের কাছে হকিস্টিক, ককটেল ও পিস্তল ছিল। তারা সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও পিস্তল দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছুঁড়ে। পরে সন্ধ্যার পর পিকআপে করে ইদ্রিসের নেতৃত্বেই ৩০-৪০ জন এসে বাড়ির প্রধান ফটক খুলে নেওয়াসহ ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ, খাট, সোফা, আলমিরা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, ফ্রিজ, টেলিভিশন, পানির সাবমারসিবল মোটরসহ সবকিছু গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় ভুক্তভোগী গীতা রাণীর পরিবার। এখনো তারা বাড়িছাড়া।

এই ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর করা মামলায় ইদ্রিসসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরিবারটির পক্ষ থেকে এই ঘটনায় মামলা করার পাশাপাশি প্রতিকার চেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে লিখিত আবেদনও করা হয়েছে।

গীতা রাণীর ভাই প্রদীপ বর্মন বলেন, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় হতাশায় ছিলাম। এখন কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছি।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ছাড়া মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, দলীয় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত ১ অক্টোবর ইদ্রিস মিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়