‘মব জাস্টিস’ এখন প্রতি মুহূর্তে উচ্চারিত একটি শব্দ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এ অনিয়ম চলে আসছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত উচ্চারিত একটি শব্দ হলো ‘মব জাস্টিস’। একদল মানুষ একত্র হয়ে কাউকে হেনস্তা এমনকি পিটিয়ে মেরে ফেলার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আর এসব ঘটনাকে বলা হচ্ছে ‘মব জাস্টিস’। সাধারণ অর্থে এক দল সংগঠিত ব্যক্তি আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়ার নাম ‘মব জাস্টিস’।
বিভিন্ন তথ্য ও তত্ত্ব জানাচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই ‘মব জাস্টিস’ চলে আসছে। গবেষকরা বলছেন, ‘জনতার ন্যায়বিচার’ বা মব জাস্টিস হলো আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া সাধারণত এক দল ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত বেআইনি শাস্তির একটি রূপ। তারা বলছেন, জনতার বিচার হলো একটি পরিস্থিতি যেখানে মানুষ ভিড় তৈরি করে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। তারাই কাউকে অভিযুক্ত করে, জুরি এবং বিচারক হিসেবে কাজ করে, এরপর সন্দেহভাজন বা কথিত অপরাধীকে ঘটনাস্থলে শাস্তি দেয়।
এ পদ্ধতিতে প্রায় সময় কোনো ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারা বা গুরুতর আহত করা হয়। তবে এসব ঘটনায় ‘মব লিঞ্চিং’ বলেও একটি শব্দ ব্যবহৃত হয়।
ব্রিটানিকার সংজ্ঞা অনুযায়ী ‘লিঞ্চিং’ সহিংসতার একটি রূপ যেখানে জনতা বিনাবিচারে, প্রায়শই নির্যাতন এবং শারীরিক অঙ্গহানি ঘটিয়ে কোনো ‘অভিযুক্তকে’ মৃত্যুদণ্ড দেয়। তারা বলছে, ‘লিঞ্চ’ শব্দটি একটি স্ব-গঠিত আদালতকে বোঝায় যা আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই একজন ব্যক্তির ওপর শাস্তি আরোপ করে। আর এ শব্দটি চার্লস লিঞ্চের নাম থেকে উদ্ভূত হয়েছে। যিনি ভার্জিনিয়ার একজন চাষি। ‘ন্যায়বিচার’ প্রতিষ্ঠায় যিনি একটি অনিয়মিত আদালত গঠন করেন।
গবেষকরা বলছেন, মব জাস্টিস সামাজিক বৈষম্য, অর্থনৈতিক বঞ্চনা এবং ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অভাবের কারণে ঘটে থাকে। তবে ইন্টারনেটের যুগে সরাসরি পেটানো ছাড়াও মব জাস্টিস চলমান আছে। সেখানে জনতা কোনো একটি ফৌজদারি অপরাধ, ব্যক্তিগত বিষয়ে মব জাস্টিসে লিপ্ত হয়। উৎস: দেশ রুপান্তর।
আপনার মতামত লিখুন :