শিরোনাম
◈ গণহত্যা মামলা: কারাগারে পুলিশ কর্মকর্তা জসিম ◈ খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ৩ ইউপিডিএফ কর্মী নিহত, অবরোধের ডাক ◈ ঠাকুরগাঁওয়ে মন্দিরে ১৪৪ ধারা জারি ◈ গ্রাহকরা টাকা না পেয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকে দিলেন তালা  ◈ হাসিনার আমলে বাংলাদেশে ঢুকলে ফিরিয়ে দিত, এই সরকার কঠোর আচরণ করছে : ভারতীয় জেলেদের সংবাদ সম্মেলন ◈ ৩৫ প্রত্যাশীরা ফের আন্দোলনে, পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামানে ছত্রভঙ্গ ◈ দুইটি হজ প্যাকেজের খরচ এর বিষয় যা জানাগেল ◈ রাজনীতিবিদ ছাড়া সংস্কার সফল হতে পারে না : মির্জা ফখরুল ◈ অন্তর্বর্তী সরকারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের প্রভাব : ডয়চে ভেলে প্রতিবেদন ◈ প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ

প্রকাশিত : ০২ আগস্ট, ২০২৪, ০৪:০৯ দুপুর
আপডেট : ২৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা

আইনুর ইসলাম, বগুড়া: [২] ধাওয়া খেয়ে মসজিদে আশ্রয় নেওয়া রতন জিলাদার কাবিলা (৩২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলা সদরের এরুলিয়া খন্দকারপাড়ায় মসজিদের ভেতর তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

[৩] নিহত কাবিলা বগুড়া সদরের এরুলিয়া জিলাদারপাড়ার মৃত শাবদুল জিলাদারের ছেলে। তিনি মাংসের দোকানের কর্মচারী ছিলেন।

[৪] নিহতের মা শিরানা বেওয়া বলেন, রতনের জ্যাঠাতো বোনের ছেলে আরিফুল। আর আরিফুলের বন্ধু ও ভগ্নিপতি আমিন। রতন ছয় বছর আগে বিয়ে করে। তিন বছর আগে থেকে রতনের স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল আরিফুল। কিছুদিন আগে রতনের স্ত্রীকে সে ধর্ষণ করে।

[৫] রতনের স্ত্রী বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে আরিফুল ও আমিন তাঁর ঘরে ঢুকতে চায়। এ সময় রতন বাড়ি চলে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে তিনি রতনকে ঘটনাটি জানান। পরদিন দুপুরে আরিফুল ও আমিন গ্রামের রাস্তায় বসে ছিল। এ সময় রতন গিয়ে লাঠি দিয়ে দুজনকে মারধর করেন। আরিফুল বিষয়টি জানালে বিকেলে বাড়িতে পুলিশ আসে। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে রতনকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয় পুলিশ। পরদিন বৃহস্পতিবার রতন আদালতে গিয়ে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করেন। ধর্ষণ মামলা করার জন্য রোববার তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যেতে বলেন আইনজীবী।

[৬] নিহতের স্ত্রী আরও বলেন, আরিফুল ও আমিন বুধবার দুপুরের পর থেকে রতনকে হুমকি দিয়ে আসছিল। আজ শুক্রবার ভোরে রতন গোদারপাড়া বাজারে মাংসের দোকানে যাচ্ছিলেন। এরপরই তাঁরা রতনকে ধাওয়া করে মসজিদের ভেতর কুপিয়ে হত্যা করে।

[৭] এরুলিয়া বড় জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন মোহাম্মদ আসলাম হোসেন বলেন, ‘আমি ফজরের আজান দিয়ে মসজিদের দরজা খুলে দিয়ে টয়লেটে যাই। এর মধ্যেই মসজিদের বারান্দায় শব্দ শুনতে পাই। টয়লেট থেকে বের হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখে মসজিদের মাইকে ঘটনাটি গ্রামবাসীকে জানাই। পরে গ্রামের লোকজন এসে ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

[৮] এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর  বলেন, নিহত রতনের স্ত্রীকে ইতিপূর্বে ধর্ষণের ঘটনায় দ্বন্দ্বের জেরে খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে। ঘটনার পর থেকে আরিফুল, আমিন ছাড়া আরও একজন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে। ময়নাতদন্তের জন্য রতনের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়