ফয়সাল চৌধুরী, কুষ্টিয়া: [২] কুষ্টিয়ায় তাসনিভু আক্তার জেমি (২০) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
[৩] শনিবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত জেমি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর থানার আনন্দপুর গ্রামের জাহিদুর রহমানের মেয়ে ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
[৪] পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া শহরের পেয়ারাতলা সোনার বাংলার মোড়ের এক প্রবাসী স্ত্রী নাজমা আক্তারের চারতলা ভবনের চতুর্থ তলায় মেস থেকে তাসনিভু আক্তার জেমি নামের এক শিক্ষার্থী শনিবার দিবাগত রাত দুইটা ২৯ মিনিটে তার বাবাকে মুঠো ফোনে কল করে জানাই যে,তাকে কেউ মেরে ফেলছে, এর কিছুক্ষণ পরে জেমি আবারও তার বান্ধবীকে মুঠোফোনে কল করে জানায় তাকে কেউ মেরে ফেলছে।
[৫] এরপর ম্যাচে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা জেমি ঘরের বাহিরের দরজা ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে ভিতর থেকে খুলে যায় এবং তারা ভিতরে প্রবেশ করে দেখে জেমির মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্তে শেষে পুলিশ নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
[৬] এই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাজু মোহন সাহা জানান, নিহত শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও খুবই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তদন্তের মাধ্যমে জানতে পেরেছি জ্যামির পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষাটি খারাপ হয়েছিল। এজন্য সে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিল।
[৭] জ্যামির পরিবারের বরাত দিয়ে এসআই সাজু মোহন জানান, নিহত শিক্ষার্থীর উপরি দোষ ছিল। হয়তোবা ডিপ্রেশনের জন্য আত্মহত্যা করতে পারে। কারণ চারতলা ভবনের চতুর্থ তলায় যে রুমে আর ঘটনাটি ঘটে। সেখানে বাড়ি থেকে আসা বা বেড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। জানালার গ্রিল ভাঙা ছিল না। ময়নাতদন্তের শেষে নিহতের মরদেহ তার বাবা জাহিদুর রহমান এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
[৮] এ বিষয়ে জানার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা কুষ্টিয়া মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক চৌধুরী ফোন কলটি রিসিভ করেননি। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :