শিরোনাম
◈ জাতীয় পরিচয়পত্রের অসুন্দর ছবিটি ঘরে বসেই বদলাবেন যেভাবে ◈ বাংলাদেশ হয়ে সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার রেল প্রকল্প স্থগিত করলো ভারত ◈ ‘৫ বছরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে খরচ ২৩০০ কোটি, তা ৭০০ কোটিতে নামানো সম্ভব’ ◈ নারী সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ কোরআন-হাদিসের লঙ্ঘন, বললেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ◈ রামপালের চেয়ে ৬০% কম: মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৮.৪৫ টাকা ◈ সোনার খোঁজে নেপাল যা‌চ্ছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস দল ◈ সংসদীয় সংস্কারে রাষ্ট্রপতির স্বাধীন সিদ্ধান্তের পক্ষে বিএনপি, ২২ এপ্রিল তৃতীয় দফা বৈঠক ◈ ডিসেম্বরে নির্বাচন আদায়ে সোচ্চার বিএনপি, সর্বদলীয় জনমত গঠনে জোর, চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ ◈ সিলেটে বাংলা‌দেশ অলআউট ১৯১ রা‌নে, দিন শে‌ষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ বিনা উই‌কে‌টে ৬৭ ◈ সংসদ সদস্যদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেওয়ার সুযোগ চায় বিএনপি: চারটি বিষয়ে ব্যতিক্রম প্রস্তাব

প্রকাশিত : ১৩ জুলাই, ২০২৪, ০৯:১৮ রাত
আপডেট : ০২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাবার দেড় কোটি টাকা চুরি করে তুলে দিলেন স্বামীর হাতে

মুযনিবীন নাইম: [২] রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবদুল হামিদ নামে এক ব্যবসায়ীর বাসা থেকে দেড় কোটি টাকার বেশি চুরির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে তিনি থানায় মামলা করেন। পরে তদন্ত করে তারই মেয়ে মিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য মোতাবেক পরে তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয় ।

[৩] পুলিশ জানায়, ব্যবসায়ীর সিন্দুক থেকে টাকা চুরির ঘটনায় জড়িত মিনা ও সাকিবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা টাকা চুরির কথা স্বীকার করেন। বাবার সিন্দুক থেকে টাকা নিয়ে মিনা স্বামীর হাতে তুলে দেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাকিবুল হাসানের কাছ থেকে চুরির ৯০ লাখ টাকা উদ্ধার করে।

[৪] শনিবার বিকালে গনমাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মোহাম্মদপুর থানার ওসি মো. মাহফুজুল হক ভূঞা।

[৫] তিনি বলেন, মামলার বাদী আবদুল হামিদ পেশায় ঠিকাদার। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে। গত ঈদুল আজহার দুই দিন আগে সপরিবার তিনি ভোলায় গ্রামের বাড়িতে যান। ঈদ উদযাপন শেষে গত ২০ জুন ঢাকার বাসায় ফেরেন তিনি। ঢাকায় ফেরার ১১ দিনের মাথায় তিনি বাসায় টাকা রাখার সিন্দুক খুলে দেখতে পান, তার এক কোটি ৬৬ লাখ টাকা নেই।

[৬] আবদুল হামিদ বাসায় সবাইকে টাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার কথা কেউ স্বীকার করেননি। পরে ৪ জুলাই মেয়ে মিনাকে সঙ্গে নিয়ে মোহাম্মদপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে চুরির মামলা করেন তিনি।

[৭] মামলা করা হলে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ ব্যবসায়ী আবদুল হামিদের বাসায় যায়। সিন্দুক না ভেঙে টাকা চুরির সঙ্গে ঘরের লোকজন জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পরে তদন্ত শুরু হলে বাসার প্রত্যেককে কৌশলে টাকা চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

[৮] ওসি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ব্যবসায়ী আবদুল হামিদের একমাত্র মেয়ে মিনা হামিদকে তাদের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে মিনা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, তিনি সিন্দুকের তালা খুলে টাকা চুরি করেছেন। সেই টাকা তিনি স্বামী সাকিবুল হাসানের কাছে দিয়েছেন। তার তথ্যমতে সাকিবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

[৯] এর আগে ৮ জুলাই মিনা ও সাকিবকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়