ইমন মাহমুদ, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ): [২] কিশোরগঞ্জের ভৈরবে রুপালী বেগম (১৮) নামে এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) বেলা ১২ টায় খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম। নিহত রুপালী বেগম উপজেলা শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভপুর পশ্চিম পাড়া এলাকার আক্কাছ মিয়ার মেয়ে।
[৩] পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রুপালী বেগমের পরিবারটি দরিদ্রতায় কাটছে। বাবা আক্কাছ মিয়া একজন রাজমিস্ত্রী। পরিবার রুপালী বেগমের ৬ বোন এক ভাই। ভাইটি সবার ছোট হলেও বোনদের মধ্যে রুপালী ছোট। পাচঁ বোনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। সপ্তম শেণী পর্যন্ত লেখা পড়া করেছে সে। অভাবে তাড়নায় বাড়ির পাশে একটি চিপস্ ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো রুপালী। আজ সকালে পরিবার দেখতে পায় রুপালী নিজ ঘরে ফাঁসিতে ঝুলে আছে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছিল। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
[৪] তবে কি কারণে মৃত্যু হয়েছে স্থানীরা ও পরিবার কেউই মুখ খুলছে না। স্তব্ধ হয়ে আছে পুরো এলাকা। মৃত্যুর কারণ কি এটার যেন একটি রহস্যই রয়ে গেছে। নিহতের পরিবারকে একাধিক প্রশ্ন করলেও সাংবাদিকদের কোন সদোত্তর দিতে পারেনি।
[৫] এ বিষয়ে নিহতে মা মিনারা বেগম বলেন, রাতে এলাকায় পবিত্র মহরম (আশুরা) উপলক্ষে বাড়ির পাশে জারি গানে অংশ নেন রুপালী। ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে রুপালী রাতে বাড়ি এসে নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি দেখে তাকে ডাকতে গিয়ে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পায় মা। চিৎকার চেচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে এসে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্ট করে। মৃত্যু বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে আর হাসপাতালে নেয়নি পরিবার।
[৬] এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম জানান, নিহত রুপালী বেগমের গলায় আঘাতে চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তবে মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :