ফরিদপুর প্রতিনিধি: [২] ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কলিমাঝি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে সোহেল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক স্ত্রী ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। সে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতো।
[৩] বুধবার (১০ জুলাই) সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
[৪] এ ঘটনায় বুধবার দুপুরের দিকে সোহেলের ভাই বাদি হয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছেন। দুই ছেলে-মেয়ের জনক সোহেল বিয়ের পর থেকেই তার স্ত্রীকে নিয়ে সূর্যোগ গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকতো।
[৫] পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের সূর্যোগ গ্রামের নাগর মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়ার একই ইউনিয়নের কলিমাঝি গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমার সাথে প্রায় ১৯ বছর আগে বিয়ে হয়। ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক সোহেলের শ্বশুর-শ্বাশুরীর একমাত্র মেয়ে ফাতেমা ছাড়া কোন সন্তান না থাকায় বিয়ের পর থেকে তিনি শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জের ধরে সোহেল মিয়া তার স্ত্রী-সন্তানদের মারধর করে।
[৬] মারধরের পর স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ির পাশের প্রতিবেশী খোকন মিয়ার বাড়িতে রাতে অবস্থান করে। ওইদিন রাতে বাড়িতে একা ঘুমান সোহেল মিয়া। ওই রাতে সোহেল স্ত্রীর ওড়না দিয়ে নিজের বসতঘরের ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস নেয়। বুধবার ভোরবেলা সোহেলের ছেলে রমিন মিয়া (১৪) ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে জানালা দিয়ে দেখে তার বাবা ফ্যানের সাথে ঝুলছে। পরে তার ডাকচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে স্থানীয় ডহরনগর ফাঁড়ি পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
[৭] মরদেহ উদ্ধারকারী কর্মকর্তা ডহরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, আত্মহত্যার খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় সোহেলের ভাই বাদি হয়ে একটু ইউটি মামলা করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :