তপু সরকার হারুন: শেরপুরে চাঞ্চল্যকর আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক হত্যা মামলার প্রধান আসামি নুরে আলম সিদ্দিকী (৪৫) কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
৮ জুলাই সোমবার শেরপুর সদর জি, আর আমলী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল মাহমুদ তা নাকচ করে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একইসাথে চাঁদা দাবি ও হামলার আরও একটি মামলাতেও তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে একই আদেশ দেওয়া হয়েছে। নূরে আলম সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের মো. গোলাম কুদ্দুসের ছেলে এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট ইন্সপেক্টর খন্দকার শহিদুল হক বলেন, খালেক হত্যা মামলার প্রধান আসামি নূরে আলম গত বছরের ৩১ জুলাই ওই হত্যা মামলায় উচ্চ- আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেও পরে আর নিম্ম আদালতে জামিননামা দাখিল ও আত্মসমর্পণ করেননি।
এদিকে চাঞ্চল্যকর খালেক হত্যা মামলাসহ বেশ কিছু মামলার প্রধান আসামি হয়েও সোমবার শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে নূরে আলম সিদ্দিকী আদালত অঙ্গনে প্রবেশ করায় বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আদালত ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, হামলা ও নারী নির্যাতনসহ শেরপুরে প্রায় ৮টি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া শেরপুরের বাইরেও রয়েছে কয়েকটি মামলা।
সূত্রমতে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের শেল্টারে এতদিন তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।
উল্লেখ্য, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত বছরের ২ জুলাই বিকেলে শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর চকপাড়া এলাকার অধিবাসী, জেলা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেককে সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকীর (৪৫) নেতৃত্বে তার অনুসারীরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে আহত করে। ১৫ দিন পর আইসিইউতে থাকার
পর ১৭ জুলাই মারা যান খালেক। ওই ঘটনায় খালেকের স্ত্রী আসমাউল হোসনা বাদী হয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকীকে প্রধান আসামী করে তার সহযোগীসহ ২২ জনকে স্ব-নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অপরাপর আসামিরা বিভিন্ন পর্যায়ে গ্রেফতার ও জামিন পেলেও নূরে আলম এতদিন পলাতক ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :