শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অন্যদের জন্য মডেল: প্রধানমন্ত্রী ◈ টেকনাফ সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক নিহত ◈ ১৫ জুলাই ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট চালু হচ্ছে  ◈ খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ: ডা. জাহিদ ◈ এইচএসসির দ্বিতীয় দিনে আট বোর্ডে অনুপস্থিত ১০ হাজার ৪৪০ পরীক্ষার্থী ◈ কোটা বাতিলের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ শিক্ষার্থীদের, বুধবার থেকে অবস্থান কর্মসূচি ◈ টানা ভারী বর্ষণে সাজেকে আটকা ৭ শতাধিক পর্যটক ◈ দুদকের মামলায় সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট ◈ সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসেব দিতে হবে: হাইকোর্ট  ◈ আগস্টে বন্যার আশঙ্কা, মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশিত : ০১ জুলাই, ২০২৪, ১২:০০ রাত
আপডেট : ০১ জুলাই, ২০২৪, ০৭:৫৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুর্নীতির দায়ে বাধ্যতামূলক অবসরে এএসপি ইয়াকুব

শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] নারী-পুরুষকে একসঙ্গে দাঁড় করিয়ে তাদের আপত্তিকর ছবি তোলা, জিম্মি করে টাকা আদায়সহ নানান অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চাকরি হারালেন কুষ্টিয়ার মিরপুর সার্কেলের সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইয়াকুব হোসেন।

[৩] রোববার (৩০ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। 

[৪] প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৯ সালে সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াকুব হোসেন কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর সার্কেলে দায়িত্বে ছিলেন। তখন তার নিয়ন্ত্রণাধীন মিরপুর থানার সাবেক এসআই জীবন বিশ্বাস, কনস্টেবল আল আমিন, কনস্টেবল মো. আব্দুস সবুর, গাড়িচালক কনস্টেবল সামিউল, কনস্টেবল রানা ও কনস্টেবল অনিকের সমন্বয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে একটি টিম গঠন করেন। 

[৫] ২০১৯ সালে ১৯ জানুয়ারি পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পৌর এলাকার মোশারফপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লিপি কমিশনারের বাড়িতে আকস্মিকভাবে প্রবেশ করেন। সেখানে এক নারীর সঙ্গে মো. আশরাফ হোসেন ও মো. শামীম রেজার অবস্থান করাকে অবৈধ কাজের অভিযোগ তুলে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। পরে তাদের অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছবিও তোলেন। পরবর্তী সময়ে মিরপুর বাজারের বিকাশ ব্যবসায়ী সোহেল রানার মাধ্যমে অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন। 

[৬] বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী আশরাফ পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিপরীতে অভিযুক্ত সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াকুব হোসেনকে কারণ দর্শাতে বলা হয়। 

[৭] প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় অপরাধের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদিসহ সার্বিক বিবেচনায় তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) বিধি অনুযায়ী যথাক্রমে ‘অসদাচরণ’ ও ‘দুর্নীতি’-এর অভিযোগে একই বিধিমালার বিধি ৪ এর উপ-বিধি ৩ (খ) মোতাবেক ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’ গুরুদণ্ড দেওয়া হয়।

সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়