সোলায়মান মোহাম্মদ, শ্রীপুর (গাজীপুর): [২] গাজীপুরের শ্রীপুরে কিশোরী গৃহকর্মীকে (১৪) জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার মামলায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক ফরহাদ উজ্জামানকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
[৩] শনিবার (২৯ জুন) রাতে শ্রীপুর পৌরসভার মার্কাজ মসজিদ সড়ক (কাঁচা বাজার) এলাকার নিজ বাসার চেম্বার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ভিকটিমের মা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
[৪] রোববার (৩০ জুন) সকাল এগারোটা ৪০ মিনিটে এ রিপোর্ট লেখার সময় শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান আমাদের সময় ডট কমকে জানান, এখন আসামিকে দ্রুত আদালতে পাঠানোর প্রসেসিং চলছে।
[৫] গ্রেপ্তারকৃত চিকিৎসক ফরহাদ উজ্জামান শ্রীপুর পৌরসভার মার্কাজ মসজিদ সড়ক (কাঁচা বাজার) এলাকার মৃত অ্যাডভোকেট আবুল হাসেমের ছেলে। ভিকটিম ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা এং তার বাবা রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। সে তার বাবা-মার সাথে শ্রীপুরে ভাড়া বাসায় থেকে ওই চিকিৎসকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো। তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হবে।
[৬] থানায় দায়েরকৃত মামলায় জানা যায়, ২১ জুন (শুক্রবার) সকাল সড়ে ৬টায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ফরহাদ উজ্জামান তার বাসার গৃহকর্মীকে নিজ চেম্বারে নিয়ে পূর্বের ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা সখিনা বেগম বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিমকে আসামির বাড়ী হতে তাদের বাড়ী নিয়ে যায়।
[৭] ভিকটিমের মা জানান, গত দুই মাস আগে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে আমার পরিচয় হওয়ার পর সে আমার মেয়েকে তার বাসায় কাজ করার জন্য বলে। পরে আমি মেয়ের বাবার সাথে পরামর্শ করে তার বাসায় মেয়েকে কাজ করার জন্য দিয়ে আসি। কয়েকদিন পর আসামি আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ওই ধর্ষণের ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত তার বাসার চেম্বারে একাধিকবার আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি মেয়ে আমাকে জানালে চিকিৎসকের বাসা থেকে আমার মেয়েকে নিয়ে আসি। নিয়ে আসার পরই অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে মেয়েকে ধর্ষণের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
[৮] শনিবার (২৯ জুন) সকালে আমার এক আত্মীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও দেখতে পেয়ে ফোন করে জানায়। পরে আমি ওইদিন সন্ধ্যায় থানায় এসে লিখিত আভযোগ দিলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :