মাসুদ আলম: [২] পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ইস্যু হওয়া পাঁচটি পাসপোর্টের বিষয়ে তথ্য জানতে সংস্থাটির আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দুদকের এক উপপরিচালকের নেতৃত্বে একটি টিম। এদের মধ্যে পরিচালক, উপপরিচালক ও উপসহকারী পরিচালক রয়েছেন।
[৩] যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তারা হলেন- পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাইদুর রহমান, মো. মহসিন ইসলাম, আবু মো. মোতালেব হোসেন, আব্দুল জলিল মন্ডল, মুন্সী মুয়ীদ ইকরাম, আবু নাঈম মাসুম, ও সুবাস চন্দ্র রায়।
[৪] বেনজীরের দুটি ও তার পরিবারের তিনটি পাসপোর্ট নিয়ে দুদকের সন্দেহ হয়। তারপর ওই আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে গত ১৩ জুন চিঠির মাধ্যমে সকালে দুদকে হাজির হতে বলা হয় তাদের।
[৫] এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও সচিব খোরশেদা ইয়াসমীনের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। তবে তারা দুজনই বিষয়টি এড়িয়ে যান।
[৬] একটি সূত্র বলছে, বেনজীরের নামে একাধিক পাসপোর্ট রয়েছে।
[৭] জানা গেছে, সাবেক এই আইজিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পাসপোর্টে আড়াল করেছেন তার পুলিশ পরিচয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে নীল রঙের অফিসিয়াল পাসপোর্ট করেননি। সুযোগ থাকার পরও নেননি লাল পাসপোর্ট। এমনকি বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও আশ্রয় নিয়েছেন জালিয়াতির।
[৮] কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে নবায়ন কার্যক্রম আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। সে সময় তিনি র্যাবের মহাপরিচালক থাকায় চিঠি দেওয়া হয় র্যাব সদর দপ্তরে। তবে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ম্যানেজ করেন সব। পাসপোর্ট অফিসে না গিয়েই নেন বিশেষ সুবিধা।
[৯] এর আগে দুর্নীতি ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর ও তার পরিবার ২৩ ও ২৪ জুন হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগের লিখিত বক্তব্য জমা দেন। বেনজীর আহমেদ সপরিবারে বিদেশে রয়েছেন। সম্পাদনা: এম খান
এমএ/আইকে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :