জিয়াবুল হক: [২] কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও সাবরাং ইউনিয়নের নাফনদীর সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে মর্টারশেল ও গুলির শব্দে এপারের মানুষদের মধ্যে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে বৃদ্ধি করা হয়েছে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল।
[৩] শনিবার গভীর রাত থেকে রোববার সকাল ৮ টা পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার নাফনদীর সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্টে ভারী মর্টারশেলের শব্দ পেয়েছেন স্থানীয়রা।
[৪] নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উত্তরপাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জরপাড়া, হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভিপাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, লেদা ও সাবরাং ইউনিয়নের আচারবনিয়া পাড়া, দক্ষিণ নয়া পাড়া, লাপারঘোনা ও শাহপরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়া, বাজার পাড়া, দক্ষিণ পাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি ও মর্টারশেলের শব্দ পাওয়া গেছে।
[৫] হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও সাবরাংয়ের নাফনদীর সীমান্তের পূর্ব দিকে মিয়ানমারের কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা, ডলিয়া পাড়া, সোদাপাড়া গ্রামে যুদ্ধ চলছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফনদীতে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা টহল বৃদ্ধি করেছেন।
[৬] টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, শনিবার রাতে সীমান্তের ওপার মিয়ানমার থেকে থেমে থেমে ভারী মর্টারশেলের শব্দ শুনতে পাই। এসব গোলার শব্দ এখন নিয়মিত ঘটনার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা, মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ চলমান রয়েছে।
[৭] টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘সীমান্তে গোলার শব্দ পাওয়া যায়। লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। নাফনদীর বিভিন্ন এলাকায় কোস্টগার্ড এবং বিজিবির টহল রয়েছে।
[৮] কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, ওপারের চলমান যুদ্ধের পরিস্থিতিতে নাফনদী দিয়ে সীমান্তে অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা থেকে আমরা (কোস্টগার্ড) টহল জোরদার রেখেছি। নতুন করে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে আমরা দুই শতাধিকের মতো অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করেছি। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :