অমিত খাঁন, শ্রীনগর: [২] আড়িয়ল বিলসহ উপজেলার বিভিন্ন চকজুড়ে চলছে ধান আবাদের কর্মযজ্ঞ। প্রায় শেষের দিকে জমিতে ধানের চারা রোপণের কাজ।
[৩] সিংহভাগ ধানি জমির যত্নে পানি সেচ, নিড়িসহ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন স্থানীয় কৃষক ও শ্রমিকরা।
[৪] উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে আড়িয়ল বিলের শ্রীনগর অংশে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম ধান চাষ করা হচ্ছে।
[৫] এরই মধ্যে জমিতে বপণকৃত ধানের চারা সবুজ আবহ তৈরি হতে যাচ্ছে। আর কৃষক ফসলের কাঙ্খিত ফলনের লক্ষ্যে জমিতে প্রয়োজনীয় পানিসেচ, সার ছিটানো, কীটনাশক স্প্রে ও নিড়ির কাজকর্ম করছেন। ধানি জমি যত্নের কাজে পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরা সরব মাঠে।
[৬] সরেজমিন দেখা গেছে, এ কাজে একজন পুরুষ শ্রমিকের ৩ বেলা খাবারসহ দৈনিক পারশ্রমিক ধরা হচ্ছে ৬শ’ টাকা। অপরদিকে একজন নারী শ্রমিককে দু’বেলা খাবারসহ দৈনিক কাজের মজুরী ধরা হচ্ছে ৪শ’ টাকা। যদিও মজুরীর দিক থেকে বিবেচনায় এখনও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন নারীরা। তার পরেও জীবন যুদ্ধে জীবীকার তাগিদে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
[৭] স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে কৃষক কাজ করছেন। এর মধ্যে আড়িয়ল বিলের শ্রীনগর অংশে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম ধানের চাষাবাদ হচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল ধান চাষের জন্য স্থানীয় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এ অঞ্চলে হাইব্রিড-২৮ ও ২৯ জাতের ধান চাষ বেশি হচ্ছে।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :