শিরোনাম
◈ ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন ব্যারিস্টার জায়মা রহমান, আজ হচ্ছে 'ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ ◈ ‘বিএনপি কর্মীদের’ হামলায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ৩ সাংবাদিক আহত ◈ পাঁচদিনের ব্যবধানে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা, বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর ◈ আমরা কী করলাম সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ আলজেরিয়ার সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ ◈ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ ◈ বাধ্যতামূলক অবসরের বিধান বাতিলের সুপারিশ ◈ উত্তাল ধানমন্ডি ৩২, ব্যাপক ভাঙচুরের পর বাড়িতে আগুন (ভিডিও) ◈ ধানমন্ডিতে বাসায় কাজের বুয়ার পরিচয়ে চাকরি নিয়ে দুর্ধর্ষ চুরি ◈ রোজায় নয়, গ্রীষ্মে লোডশেডিং হতে পারে : বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৬:৫৩ বিকাল
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৭:২৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাঁদপুরে চিকিৎসক হত্যা মামলায় দুই কিশোরের ১০ বছরের আটকাদেশ

মিজান লিটন, চাঁদপুর: [২] চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক আনোয়ার উল্লাহ (৮৫) হত্যা মামলায় অভিযুক্ত কিশোর মো. শফিউল আলম শুভ (১৪) ও মো. আসিফ মিয়াজী বাবু (১৭) কে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছে আদালত।

[৩] সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল হান্নান এই রায় দেন।

[৪] আটকাদেশ প্রাপ্ত কিশোর শুভ শাহারাস্তি উপজেলার বানিয়াচো গ্রামের মিয়াজী বাড়ির মো: জামাল হোসেনের ছেলে এবং বাবু একই বাড়ির মফিজুল ইসলামের ছেলে।

[৫] মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক আনোয়ার উল্লাহ চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করার পর থেকে নিজ বাড়ি বানিয়াচো গ্রামের মিজি বাড়িতে  নিজস্ব চেম্বারে এলাকার লোকদেরকে চিকিৎসা প্রদান করতেন। ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি রাতে তিনি খাওয়া-দাওয়া শেষ করে নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান। স্ত্রী না থাকায় ওই ঘরে তিনি একাই থাকতেন। পাশের ঘরে থাকতেন তার ছেলে ও ছেলের বউ নাতি নাতনিরা। রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা তাকে গলা কেটে হত্যা করে ওই ঘরের সিঁড়ির পাশে রেখে চলে যায়। পরদিন ২৭ জানুয়ারি সকালে স্থানীয় চা দোকানী তোয়াব আলী গলাকাটা মরদেহ দেখে পরিবারের লোকজনকে জানান।

[৬] মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এই ঘটনায় চিকিৎসক আনোয়ার উল্লাহর ছেলে মোশারফ হোসেন ২৮ জানুয়ারি শাহারাস্তি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

[৭] মামলার পর শাহরাস্তি থানা পুলিশ উভয় আটকাদেশ প্রাপ্ত দুই কিশোরকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহারাস্তি থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নূর হোসেন মামুন মামলাটি তদন্ত শেষে একই বছর ৯ জুন আদালতে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করেন।

[৮] সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাইয়েদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি ৬ বছর চলাকালীন সময়ে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। সাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে দুই কিশোরের উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় দেন।

[৯] আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট শহীদুল্লাহ পাটোয়ারী।

প্রতিনিধি/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়