নিজস্ব প্রতিবেদক: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় পাহাড়ের আঞ্চলিক দুই সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলির সময় এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে।
রোববার দুপুরে উপজেলার দুর্গম পাহাড়ের শিয়ালদহলুই মৌজায় সাজেকে ইউপিডিএফ (প্রসিত) ও জেএসএসের (সন্তু লারমা) মধ্যে ঘণ্টা ব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, অন্তত ৩০০ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে এবং এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে সাজেক রুইলুই অস্থায়ী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত শিশুর নাম রোমিও ত্রিপুরা। সে গণ্ডারামছড়া এলাকার ফবেন ত্রিপুরার ছেলে।
সাজেক ইউনিয়নের সিয়ালদাহ লুই এলাকার মেম্বার জোপ্পুইথাং ত্রিপুরা জানান, দুপুর তিনটা থেকে থেমে থেমে আনুমানিক ২৫০-৩০০ রাউন্ড গুলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এসময় গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে ঘরে যাওয়ার পথে রোমিও ত্রিপুরা গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিজিবির সিয়ালদাহ লুই বিওপিতে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সাজেক রুইলুই অস্থায়ী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সাজেক থানার সার্কেল অফিসার ও রাঙ্গামাটির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল জানান, শিশুটির চিকিৎসার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন তিন দিনের অবকাশ যাপনে সাজেক অবস্থান করছেন। ফলে সাজেকসহ আশপাশের এলকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যেই পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ ও জেএসএসের এর মধ্যে ভয়াবহ এই বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গত চার ফেব্রুয়ারি সাজেকের মাচালং ব্রিজ পাড়ায় ইউপিডিএফের দুই সদস্য দীপায়ন চাকমা ও আশিষ চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এই হত্যার জন্য জেএসএসকে (সন্তু লারমা) দায়ি করেছে ইউপিডিএফ।
আপনার মতামত লিখুন :