মিজান লিটন: [২] জাটকা সংরক্ষণে দেশের ৫টি অভয়াশ্রমে দুই মাস জাটকা ধরা নিষিদ্ধ ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে শনিবার মধ্যরাত থেকে চাঁদপুরের ৫২ হাজার জেলে পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরতে নামবেন। ইতিমধ্যে নদীতে নামার সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছেন তারা। এতে জেলেপাড়ায় অনেক উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
[৩] জানা গেছে, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা সংরক্ষণে অন্যান্য স্থানের মতো চাঁদপুরের মতলব উত্তর ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় দুই মাস জাটকা ধরা নিষিদ্ধ ছিলো। এতে জেলেরা কর্মহীন হয়ে পড়ায় নিবন্ধিত ৪৪ হাজার ৩৫ জন জেলেকে খাদ্য সহায়তা দেয় সরকার। সহায়তা পেলেও মাছ ধরতে না পারায় ঋনে জর্জরিত হয়ে আছেন জেলেরা। তবে ইলিশ পাওয়া ও না পাওয়ার শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন জেলেরা।
[৪] চাঁদপুর সদর উপজেলার আনন্দ বাজার, হরিনা, বহরিয়া, লক্ষ্মীপুরসহ বেশ কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখা গেছে, জেলেদের নৌকা মেরামতের কাজ শেষ নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
[৫] ইলিশ ধরার জন্য নৌকা ও চান্দি জাল নিয়ে প্রস্তুত চাঁদপুরের জেলেরা। যারা নদীতে নেমেছে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্ছার ছিলো প্রশাসন। অন্যান্য বছর আটককৃতরা অধিকাংশই ছিল অন্য জেলার। এ বছর আটককৃতদের বেশির ভাগই ছিলো চাঁদপুর জেলার।
তারা আরো বলেন, গত দুই মাসে ৪০ কেজি করে ৮০ কেজি চাল ছাড়া অন্য কোন সহায়তা পাইনি। আরো ৮০ কেজি চাল দেয়া বাকী আছে।
তবে ইলিশের উৎপাদন খুব একটা বাড়বে বলে মনে করছেন না জেলেরা। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেছেন, চাঁদপুরে কিছু জেলে ইলিশ ধরা বন্ধ রাখলেও রাতে মেঘনার চরাঞ্চলে জাটকা নিধন করা হয়েছে দেদারছে। সেখানে টাস্কফোর্সও পৌঁছাতে পারেনি।
চাঁদপুর জেলার মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান, জাটকা সংরক্ষণে প্রায় দুই মাস চাঁদপুর, ভোলা, লক্ষীপুরসহ দেশের ৫টি স্থানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিলো। এবারের নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে কার্যকর হওয়ায় এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :