ফরহাদ আমিন : [২] কক্সবাজারের টেকনাফে চাঁদাবাজির মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশের দুই সদস্যকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
[৩]শুক্রবার(২৯এপ্রিল)রাত সাড়ে১১টার দিকে বাহারছড়া ইউওলপি শামলাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।গ্রেফতার শামশুল আলম ওরফে এ টি এম শামসু বাহারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক ও শীলখালী এলাকার মৃত মোহাম্মদ কালু মিয়ার ছেলে।আহত দুই পুলিশ সদস্যরা হলেন,বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক(এএসআই)জামাল মীর ও কনস্টেবল মোঃইমরান।
[৪]পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও ইউনিয়ন যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক শামশুল আলমকে (৩৫)গ্রেফতার করতে গতকাল রাতে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজারে যায় পুলিশের একটি দল।সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁকে গ্রেফতার করতে চাইলে শামশুলসহ তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)জামাল মীর ও কনস্টেবল মোঃইমরানকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন।খবর পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে যান এবং শামশুলকে গ্রেফতার করে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে আসেন।
[৫]প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা মোঃরাশেদুল ইসলাম বলেন,চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা জানানোয় তাঁরা শ্রমিকদের মারধর ও বিভিন্ন ধরনের মালামাল লুট করেন।পাশাপাশি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
[৬]বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ বলেন,চাঁদাবাজি মামলায় এজাহারে উল্লিখিত দুই নম্বর আসামি যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশের দুই সদস্যকে মারধর করা হয়।এতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
[৭]উল্লেখ্য,বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী মাঝেরপাড়ায় একোয়া শ্রিম্প হ্যাচারির (নারিশ কোম্পানি)কেনা প্রায়২০একর জমি আছে।২২এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণকাজ চলা অবস্থায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে থাকা নির্মাণশ্রমিকদের ওপর চড়াও হন এলাকার ভূমিদস্যু,চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা।জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে৫০লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে কোম্পানির কর্মকর্তাকে হুমকি দেন তাঁরা। চাঁদা দিতে না চাইলে তাঁরা কোম্পানির নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করেন এবং মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যান।এ সময় দুর্বৃত্তরা এক্সকাভেটর মেশিনসহ কিছু যন্ত্রপাতি ভাঙচুর চালায়।
[৮] এ ঘটনায় ২৬এপ্রিল ১২জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৮থেকে১০জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় একটি মামলা করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :