সনতচক্রবর্ত্তী: [২] ঈদে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে অনন্য নজির স্থাপন করলেন মাগুরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
ঈদের কেনাকাটা করতে না পারা শালিখা উপজেলার বরইচারা গ্রামের এক অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি এটাই প্রমাণ করলেন “মানুষ মানুষের জন্য”।
[৩] মাগুরার শালিখা উপজেলার বরইচারা (আটির ভিটা) গ্রামের আব্দুল ওয়াব মোল্যার কন্যা মীরা খাতুন’কে ১০ বছর পূর্বে একই উপজেলার হরিশপুর গ্রামের মালেক মোল্যার পুত্র ভ্যান চালক নুর ইসলামের সঙ্গে বিবাহ দেন। এরপর অসহায় ওই দম্পতির কোলে আসে দুটি কন্যা সন্তান। একেতো সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। তার ঈদের বাজার করা তাদের কাছে স্বপ্ন মাত্র। এনিয়ে বেশ কয়েক দিন পূর্বে মীরা খাতুনের সাথে স্বামী নুর ইসলামের কলহ হয়। এক পর্যায়ে আত্মহত্যা করার জন্য বিষ পান করেন মীরা খাতুন। পরিবার বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করেন। চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন। কিন্তু অভাবের কারণে আজও তাদের হয়নি ঈদের বাজার। এরপর ওহাব মোল্যা মেয়ে জামাই সহ নাতনীদের নিজ বসত বাড়ি বরইচারা গ্রামে নিয়ে আসেন।
[৪] এবিষয়টি মাগুরার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সাহেবের দৃষ্টি গোচর হলে তিনি শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ওই অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের সকলের জন্য জামাকাপড়, ঈদের সিমাই চিনি’সহ হাজির হন বরইচারা গ্রামের আব্দুল ওহাব মোল্যার বাড়িতে। ঈদের নতুন পোশাক পেয়ে ওই অসহায় পরিবারের সকলেই খুব খুশি হন এবং মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের জন্য দোয়া করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শালিখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বিশারুল ইসলাম।
[৫] মীরা খাতুন বলেন, আমার বাচ্চারা এবার খুব খুশি হয়েছে। স্যারের জন্য আল্লাহ'র কাছে প্রার্থনা করি বলে আনন্দতে কেঁদে ফেলেন।
[৬] মাগুরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি মানবিক কারণে এসেছি, কারণ মানুষ মানুষের জন্য। এই ঈদে যেন সবাই ভালোভাবে ঈদ উৎযাপন করতে পারে এই প্রত্যাশা করি। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :